• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী

মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী

ফিচার ডেস্ক

মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন।

১৯১৮, ১লা সেপ্টেম্বর: সুনামগঞ্জে মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর জন্ম।

১৯৩৪: সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে। সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন৷

১৯৩৮: আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৩৯: তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন।

১৯৪০: দেরাদুনে ব্রিটিশ - ভারতীয় মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে।

১৯৪২: মেজর পদে উন্নীত হন। ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মেজর।

১৯৪৫: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করেন৷

১৯৪৭, ৭ই অক্টোবর: ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এসময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেলের।

১৯৪৯: তিনি চীফ অফ জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হন।

১৯৫১ - ১৯৫৫: তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন৷ এর পর তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন৷
এসময় তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সাথে পালন করেন৷

১৯৬৫: পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন৷ 'ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন' হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন সামরিক হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ করতেন তিনি ৷

১৯৬৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি: তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৭০: তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে '৭০-এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭১, ১৭ এপ্রিল: গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। সে দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী।

১৯৭১, ২৬শে ডিসেম্বর: তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা (অক্রিয়) প্রদান করা হয় এবং তিনি নব দেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্তি পান।

১৯৭২, ১২ এপ্রিল: তিনি তার দায়িত্ব থেকে অবসর নেন, মন্ত্রিসভায় যোগ দেন অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে।

১৯৭৩ মার্চে: স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে ওসমানী তার নিজের এলাকা থেকে অংশ নেন এবং নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেন।

১৯৭৪ মে: মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

১৯৭৫: সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন।

১৯৭৬ সেপ্টেম্বর: ওসমানী 'জাতীয় জনতা পার্টি' নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

১৯৭৮ ও ১৯৮১: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮৪, ১৬ই ফেব্রুয়ারি: ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন থাকাকালীন এমএজি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

এবি/এসজে

 

২১ আগস্ট ২০২১, ০৬:১০পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।