মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে অধিক পরিচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন।
১৯১৮, ১লা সেপ্টেম্বর: সুনামগঞ্জে মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর জন্ম।
১৯৩৪: সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে। সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন৷
১৯৩৮: আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৩৯: তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন।
১৯৪০: দেরাদুনে ব্রিটিশ - ভারতীয় মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে।
১৯৪২: মেজর পদে উন্নীত হন। ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মেজর।
১৯৪৫: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করেন৷
১৯৪৭, ৭ই অক্টোবর: ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এসময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেলের।
১৯৪৯: তিনি চীফ অফ জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হন।
১৯৫১ - ১৯৫৫: তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন৷ এর পর তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন৷
এসময় তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সাথে পালন করেন৷
১৯৬৫: পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন৷ 'ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন' হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন সামরিক হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ করতেন তিনি ৷
১৯৬৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি: তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৭০: তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে '৭০-এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭১, ১৭ এপ্রিল: গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। সে দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী।
১৯৭১, ২৬শে ডিসেম্বর: তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা (অক্রিয়) প্রদান করা হয় এবং তিনি নব দেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্তি পান।
১৯৭২, ১২ এপ্রিল: তিনি তার দায়িত্ব থেকে অবসর নেন, মন্ত্রিসভায় যোগ দেন অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে।
১৯৭৩ মার্চে: স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ নির্বাচনে ওসমানী তার নিজের এলাকা থেকে অংশ নেন এবং নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেন।
১৯৭৪ মে: মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫: সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন।
১৯৭৬ সেপ্টেম্বর: ওসমানী 'জাতীয় জনতা পার্টি' নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
১৯৭৮ ও ১৯৮১: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৪, ১৬ই ফেব্রুয়ারি: ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন থাকাকালীন এমএজি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
এবি/এসজে