• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ত্বক ও চুলের যত্নে অনন্য ‘অ্যাভোকাডো তেল’

ত্বক ও চুলের যত্নে অনন্য ‘অ্যাভোকাডো তেল’

প্রতিকী ছবি

স্বাস্থ্য ডেস্ক

অ্যাভোকাডো তেলের রয়েছে নানা সুবিধা। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার। এটি পাচনতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়। এই তেলে থাকা অন্যান্য খনিজ উপাদান সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সালাদে অ্যাভোকাডো তেল ও অ্যাভোকাডো রাখলে এটি আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে। খাদ্য ও পুষ্টিগবেষকরা বলছেন, অ্যাভোকাডো তেল সালাদে ব্যবহার করা খুবই নিরাপদ। তবে খাটি তেল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা জরুরি।

এই পর্বে আমরা অ্যাভোকাডো তেলের গুণাগুণ ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে নেয়া যাক কি আছে অ্যাভোকাডো তেলে-

পরিচয়:
অ্যাভোকাডোর ইংরেজি নাম avocado। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Persea americana। অ্যাভোকাডো মূলত মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। যা লরেসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। ফলটির খোসা কুমিরের গায়ের মত অমসৃণ হওয়ায় এটা কুমির নাশপাতি হিসেবেও পরিচিত। অ্যাভোক্যাডো থেকে উৎপন্ন তেলকে বলা হয় avocado oil। এই তেল ত্বকে ব্যবহার করা যায়। তবে বিশেষ প্রক্রিয়ার পর এটি খাওয়ার জন্যও নিরাপদ।

পুষ্টিগুণ:
হেলথ লাইন, হেলথ বেটিফিট টাইমস, মেডিকেল নিউজ টুডে ও উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে বলা হয়েছে, অ্যাভোকাডো তেলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও ফ্যাট।

স্বাস্থ্য গবেষক ও পুষ্টিবিদদের বরাত দিয়ে জনপ্রিয় মার্কিন ওয়েবসাইট হেলথ লাইন জানিয়েছে, ভিটামিন সি ও উদ্ভিজ ফ্যাটের উত্তম উৎস অ্যাভোকাডো তেল। এটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।

উপকারিতা:
হেলথ লাইন, মেডিকেল নিউজ টুডে, হেলথ বেটিফিট টাইমস ও উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে বলা হয়েছে, অ্যাভোকাডো তেল-

চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে: অ্যাভোকাডো তেলে রয়েছে অসম্পৃক্ত চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। ফলে এটি চুল গজাতে এবং চুলের নমনীয়তা রক্ষায় সহায়তা করে। এই তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী।

ত্বক ভালো রাখে: অ্যাভোকাডো তেল নানা ধরণের ত্বকের প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং পটাসিয়াম ঠোঁট, মুখ এবং পায়ের ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এ ছাড়া এই তেল কোলাজেনকে উদ্দীপিত করে এবং শক্তিশালী করে এটি সহজেই ত্বকের ছিদ্র দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: রক্তচাপ কমাতে, দেহে ট্রাইগ্লিসারাইড উপাদান কমাতে এবং ধমনী ফলকের ধীর বিকাশে অ্যাভোক্যাডো তেল খুবই কার্যকরী। এটি অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে ব্যাপক কার্যকরী।

হজমে সহায়তা করে: প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অ্যাভোকাডো তেল রাখতে পারেন। কারণ এটি আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: গবেষকরা বলছেন, অ্যাভোকাডো তেলে থাকা প্রাকৃতিক খাদ্যআঁশ বা ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: এই তেলে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ক্যান্সার দূরে রাখে: অ্যাভোকাডো তেলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং খনিজ উপাদান। যা দেহে থাকা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে।

ওজন কমায়: অ্যাভোকাডো তেল রয়েছে অল্প পরিমাণে ফ্যাট। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে চাইলে ডায়েট চার্টে রাখার খাবারের পাশাপাশি সালাদ রাখুন। আর এই সালাদে ব্যবহার করুন অ্যাভোকাডো তেল।

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন, মেডিকেল নিউজ টুডে, হেলথ বেটিফিট টাইমস ও উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসএন

২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১:১৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।