• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ত্বকের যত্নে মধুর উপকারিতা

ত্বকের যত্নে মধুর উপকারিতা

প্রতিকী ছবি

স্বাস্থ্য ডেস্ক

বলা হয়, সেরা জিনিসগুলো আমাদের সামনে থাকে কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পারিনা। মধু তেমনই এক জিনিস। আমাদের প্রায় সবারই রান্নাঘরে মধু থাকে কিন্তু আমরা সেটার সব ধরনের গুনাগুণ সম্পর্কে জানিনা।

প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত পণ্য বাজারে ছিলনা তখন আয়ুর্বেদ মধুর নানা গুনাগুণকে আমাদের সামনে এনেছে। আজকাল যেকোনো ত্বকের সমস্যার জন্য বাজারে বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিলে অনেক ক্ষেত্রেই উপকার পাওয়া যায়, সেই সাথে ত্বক নিরাপদ থাকে।

আর মধু এমনই এক জিনিস যা আমাদের ত্বকের কম বেশি সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। কিভাবে এই সমাধান পাওয়া যায় আসুন তা জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মধুর উপকারিতা

আমরা সবাই চাই নিজেদের ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে, কিন্তু তা করতে অনেকেই ব্যর্থ হই। মধু আমাদের ত্বকের মৃতকোষ তুলে ফেলতে ফেলতে সাহায্য করে, এর ফলে আমাদের ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়। মুখ ভালো করে ধোওয়ার পর মধু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আলতো হাতে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিতে হবে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। এভাবে ব্যবহার করতে থাকলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

মধু ত্বকের দাগ দূর করে

ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে মধু অসাধারণ কাজ করে। ত্বকের কালো দাগ, রোদে পোড়া দাগ, এমনকি পুড়ে যাওয়ার দাগও মধু দূর করতে সক্ষম। ব্রণের দাগ দূর করতে মধু রোজ ব্যবহার করা যেতে পারে। কেটে যাওয়া বা পুড়ে যাওয়া জায়গার ওপর মধু লাগিয়ে রাখলে ঘা শুকিয়ে যাবে।

মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে

রোদে পুড়ে আমাদের অনেকেরই ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। মধুর ব্যবহারের ফলে এই রুক্ষতা কমে যাবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বাজায় থাকবে। রুক্ষতার কারণে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, মুখ ক্লান্ত দেখায়। মধু আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে মইশচারাইজ করে।

মুখ পরিষ্কার রাখতে মধুর ব্যবহার

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটোরিয়াল গুনাগুণ থাকার কারণে মধু ত্বকের ব্ল্যাকহেডস ও ওয়াইটহেডস দূর করে ত্বককে পরিষ্কার করে। রোজ মধু ব্যবহার করলে আমাদের এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

বলিরেখা দূর করতে মধু

আমাদের বয়সের সাথে সাথে মুখে বয়সের ছাপ পরতে শুরু করে। অনেকে হয়ত নানা ধরনের পণ্য ব্যবহার ও করছেন তবে সুফল পাচ্ছেন না তেমন ভাবে। আবার অনেকেই হয়ত ঘরোয়া পদ্ধতিতে বলিরেখা দূর করতে চাইছেন কিন্তু জানা নেই কি ব্যবহার করলে এই সমস্যার সমাধান মিলবে। আপনার হাতের কাছেই সমাধান রয়েছে। মধু ব্যবহার করে অনেকেই মুখের বলিরেখা দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। ভাল করে মুখ ধুয়ে মধু লাগিয়ে রাখলে এবং তার কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে মুখের বলিরেখা দূর হবে।

শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে মধুর ব্যবহার

অনেকেরই সব মরসুমেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকে। মধু ব্যবহার করে কিছুক্ষণের মধ্যেই এর সুফল পাবেন। রুক্ষ ঠোঁটে মধু লাগিয়ে একটু ঘষে নিলে মরা চামরা উঠে যাবে আর আপনার ঠোঁট হবে মসৃণ। এভাবে রোজ ব্যবহার করলে ঠোঁটের ফাটা ভাব চলে যাবে।

তবে মনে রাখতে হবে ত্বকে সরাসরি মধু ব্যবহারের ফলে যদি যদি চুলকানি বা অন্য সমস্যা দেখা দেয় তাহলে মধুর সাথে একটু পানি মিশিয়ে নিতে হবে। অনেকেরই আবার রোদে পুড়ে হাত বা ঘাড়ে অসমবর্ণ হয়ে যায়। সেসব স্থানে রোজ মধু লাগিয়ে নিলে ত্বকের সমতা ফিরে আসবে। মধু শুধু শরীরের যত্নেই নয় আমাদের ত্বকের সব সমস্যার সমাধান হতে পারে। তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে।

 

এবি/এনজে/এসএন

০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।