শিশুর সঙ্গে আচরণ যেমন হওয়া উচিত
প্রতিকী ছবি
আপনার শিশু সন্তানকে সফল ভাবে গড়ে তুলতে তাকে ভয়হীন পরিবেশ দিন। শিশুকাল থেকেই ভালো আচরণ করতে শেখান। আপনার আদরের সন্তান যেন শান্ত ও ভদ্র হয়ে বেড়ে ওঠে তার জন্য আপনার দায়িত্বই বেশি। শিশুরা অনুকরণ করে। অনুকরণ থেকেই তারা শিখে। তাই, শিশুর সঙ্গে কখনোই খারাপ আচরণ ও ভয়ভীতি দেখানো উচিত নয়।
শিশুর সঙ্গে কেমন হবে আচরণ
ঘরে শিশুকে শেখান: শিশুকে সময় নিয়ে ঘরে বসে ভালো ভালো কাজ শেখান। শিশুকে সন্দর ভাবে কথা বলুন। তাকে ঘরে বসে পড়ানোর চেষ্টা করুন।
শিখাতে গিয়ে চাপ দিবেন না: শিশুকে তার বয়স উপযোগী শিক্ষাদান করুন। বয়সের তুলনায় শিশুর থেকে বেশি প্রত্যাশা করার ফল ভালো হয়না। অনেক মা-বাবা জানেনই না, শিশুকে তার মতো করে শিখতে দিলে, শিশুরা সেরাটাই করে।
শিশুর সঙ্গে গল্প করুন: আপনি আপনার শিশু সন্তানের সঙ্গে এমন কিছু গল্প করুন, যে গল্প থেকে শিশু ভালো কিছু শিখতে পারে। গল্পের মাধ্যমে শেখানো হলে শিশু আজীবন সেই শিক্ষা রপ্ত করে রাখবে।
শিশুর সামনে ঝগড়া নয়: বাবা-মা হিসেবে আপনার শিশু সন্তানের সামনে কখনোই ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। শিশুরা সাংঘর্ষিক ও উত্তেজনাকর বৈরি পরিবেশে ভয় পায়। এই ভয় শিশুর মানসিকতায় চরম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
শিশুকে ভয় দেখানো চলবে না: কোনো অবস্থাতেই আপনার শিশুকে ভয় দেখাবেন না। শিশু কোনো কাজ না করলে, পড়তে না চাইলে কিংবা খেতে না চাইলেও তাকে বকাঝকা করবেন না। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময় অনেকেই ভীতিকর গল্প বলে ঘুম পাড়াই, এটি ভালো নয়।
শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দেন: আপনার শিশু সন্তানকে বাবা-মা দুজন একসঙ্গে সময় দেন। শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের আনন্দপূর্ণ সময়ে সবচেয়ে খুশি থাকে। এই পরিবেশ শিশুর মানসিক বিকাশে দারুণ সহায়তা করে।
শিশুর প্রশ্নের উত্তর দিন: শিশুরা বড় হওয়ার পথে বাবা-মা ও বড়দের কাছে অনেক বেশি প্রশ্ন করে। তারা যা দেখে, যা শুনে, সেই সম্পর্কে শিশুরা বারবার প্রশ্ন করে। শিশুদের এই প্রশ্নকে আপনি এড়িয়ে যাবেন না। সঠিক উত্তর দিবেন। এতে শিশুদের মেধাশক্তি অনেক মজবুত হয়।
তথ্যসূত্র: ইউনিসেফ ও প্যারেন্টিং।