• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

যে নাস্তা কমাবে বাড়তি ওজন

যে নাস্তা কমাবে বাড়তি ওজন

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

শরীরের বাড়তি ওজন একটা সমস্যা। খাবার নিয়ন্ত্রণ করেও অনেকেই শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কেউ কেউ বলেন, পানি খেলেও নাকি তাদের ওজন বেড়ে যায়। স্থুলতা বা বাড়তি ওজন নিয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। সুঠাম দেহের জন্য শরীরচর্চা জরুরি। আবার শরীরচর্চা করেও কারো কারো ওজন কমে না। মূলত, শরীরচর্চা ও পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব।

গবেষকরা বলছেন, ওজন কমানোর উপায় হিসেবে সকালের পরিকল্পিত নাস্তা অত্যন্ত সহায়ক। তবে ওজন কমাতে গিয়ে সকালের নাস্তা কোনো ভাবেই ছেড়ে দেয়া উচিত নয়।

সকালের নাস্তা যেমন হওয়া উচিত

গবেষকরা বলছেন, ডিম হলো ‘সুপারফুড’। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ডিমে আছে প্রয়োজনীয় মিনারেলস। বলা হয়, ডিম প্রোটিনের উত্তম উৎস।

সকালের নাস্তায় ফলমূল রাখুন। বিশেষ করে পেয়ারা, আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, আঙুর ও কলা রাখতে পারেন। তবে সবসময় মৌসুমি ফলমূল সকালের নাস্তায় রাখা ভালো।

সকালের নাস্তায় পর্যাপ্ত সালাদ রাখুন। এটি ওজন কমাতে সহায়ক। মনে রাখতে হবে, সালাদ মানেই কেবল শসা, টমেটো বা গাজরের মিশ্রণ নয়। সেদ্ধ ডিম কুচি, সবজি কুচি, ভিনেগার, কাঁচা ছোলাবুট দিয়েও সালাদ বানাতে পারেন। এটি কম কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার।

ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাস্তায় টক দই রাখতে পারেন। দই উপকারী ব্যাকটেরিয়া বহন করে। যা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক। আপনার হজম শক্তিশালী মানে, দ্রুত ওজন কমবে।

কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণে সকালের নাস্তায় ১/২টি লাল আটার রুটি রাখুন। এটি আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমায়। রুটি আপনি সবজি দিয়ে খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, সবজি যেন অতিরিক্ত তেল দিয়ে রান্না করা না হয়।

সকালের নাস্তায় জ্যাম, জেলি, পাউরুটি পরিহার করুন। এসব খাবারের বদলে নাস্তায় রাখুন মাছ। সামুদ্রিক মাছ সবচেয়ে বেশি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই ফ্যাট দেহের ক্যালরির ভারসাম্য বজায় রেখে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

২৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:১১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।