• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষায় পায়ের যত্নে যা করবেন

বর্ষায় পায়ের যত্নে যা করবেন

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

পঞ্জিকার হিসাবে আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল। তবে প্রকৃতির নিয়মে বাংলাদেশে আশ্বিন মাসেও ঢল নামে। ভাদ্র মাসে ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। বর্ষায় রাস্তাঘাটে কাদাপানি ভরে যায়। প্রয়োজনের তাগিদে বৃষ্টির মাঝেই আমাদের চলতে হয়। বৃষ্টির পানি থেকে সুরক্ষিত থাকতে ছাতা কিংবা রেইন কোট ব্যবহার করলেও আমাদের পা থাকে অরক্ষিত। কাদাপানিতে পা অনেক সময় ধরে ভেজা থাকে। যা সুস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

গবেষকরা বলছেন, বর্ষায় সুস্থ থাকতে হলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন। বিশেষ করে হাত, পা ও ত্বকের যত্ন দরকার।

কিভাবে হবে পায়ের যত্ন

নিয়মিত নখ কাটুন: বর্ষাকালে সহজেই পায়ে কাদা লেগে যায়। কাদা নখের ভেতরে আটকে থাকলে ইনফেকশন হয়। এতে করে ব্যথা ও পুঁজ পর্যন্ত হতে পারে। তাই, নিয়মিত পায়ের নখ কাটুন।

নখের ময়লা পরিষ্কার করুন: নিয়মিত পায়ের নখের ময়লা পরিষ্কার করুন। নখের ভেতরে দীর্ঘদিন জমে থাকা ময়লা মারাত্মক ইনফেকশন তৈরি করে। পায়ের আঙুলের ব্যথা দূর করতে নখ পরিষ্কারের বিকল্প নেই।

নরম জুতা পরুন: বর্ষায় অনেকেই আটসাটো প্লাস্টিকের জুতা পরতে পছন্দ করেন। এটি করবেন না। বরং একটা নরম ও সহজে পরা যায় এমন জুতা পরুন। অল্প কাদার রাস্তায় চলার সময় প্লাস্টিকের উন্নতমানের জুতা পরতে পারেন। বাজারে ভালো ভালো ব্র্যান্ডের প্লাস্টিকের জুতা আছে। এসব জুতার দামও আপনার নাগালেই।

পায়ের তালু পরিষ্কার করুন: গোসলের সময় প্রতিদিন পায়ের তালু ও আঙুলের ফাঁকগুলো পরিষ্কার করুন। আঙুলের ভাজে ভাজেও ময়লা জমে থাকতে পারে। ময়লাগুলো পরিষ্কার করুন।

সরিষার তেল লাগান: যারা বর্ষার কাদাপানিতে দীর্ঘ সময় পা ভিজিয়ে কাজ করেন, তাদের পায়ের চামড়া ক্ষয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া পা দীর্ঘক্ষণ ভেজা থাকলে পায়ের তলার চামড়া দুর্বল হয়ে যায়। তাই, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পায়ের তলায় সরিষার তেল ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে সামান্য লাগিয়ে রাখুন। সকালে পাবেন ঝরঝরে পা।

জীবাণুনাশক লাগান: যাদের পায়ে কাদাপানির কারণে ঘাঁ কিংবা ব্যথা আছে, তারা পায়ে জীবাণুনাশক লাগতে পারেন। এ ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ও স্যাভলন দারুণ কার্যকরী। পায়ের ক্ষতস্থান ও ব্যথার স্থানে স্যানিটাইজার অথবা স্যাভলন লাগালে ব্যথা দ্রুত কমে যায়।

 

তথ্যসূত্র: পিস হেলথ।

 

২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।