• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ষায় সখের বাইকের যত্ন ও সতর্কতা

বর্ষায় সখের বাইকের যত্ন ও সতর্কতা

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

দ্রুত ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত সুবিধার জন্য মোটর সাইকেল এখন বহুল জনপ্রিয় বাহন। দিনে দিনে এই বাহনের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশেও বাণিজ্যিক ভাবে বাইক রাইডিং সেবা চলছে। ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে মোটর সাইকেলের ‘লা জবাব’।

এই বর্ষাকালে বাইক দুর্ঘটনার রেকর্ড সবচেয়ে বেশি। বৃষ্টি কাদায় বর্ষাকালে মোটর বাইকে বিশেষ যত্নও প্রয়োজন। কারণ, নিয়মিত আপনার বাইকের যত্ন না নিলে প্রিয় বাহনটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বর্ষায় বাইকের যত্ন ও সতর্কতা

পার্কিং: বৃষ্টির দিনে ছাদ অথবা কোনো ছাউনির নিচে মোটরসাইকেল পার্কিং করুন। এ ছাড়া ওয়াটারপ্্রুফ বাইক কভার দিয়ে মোটরসাইকেল ঢেকে রাখতে পারেন।

ভিজে গেলে করণীয়: বৃষ্টির পানিতে বিনা প্রয়োজনে মোটরসাইকেল ভেজাবেন না। সিট ভিজে গেলে আপনার বাইকে যাত্রী পাওয়া কঠিন হবে। এ ছাড়া ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশে পানি জমে মরিচা তৈরি করতে পারে। বাইক ওয়াশের পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

টায়ারে নজর : বর্ষাকালে রাস্তা বেশি পিচ্ছিল থাকে। এই সময়টাতে বাইকের টায়ারের হাওয়া ও টায়ারের মান নিয়মিত চেক করুন। টায়ারের ক্ষয় বেশি হলে বর্ষার আগেই পরিবর্তন করুন।

ইঞ্জিনের চেকআপ করুন: বৃষ্টির পানিতে বেশি সময় ধরে ভিজলে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন বসে যেতে পারে। ফলে স্টার্ট নিতে সমস্যা হয়। কাদাপানিতে মোটরসাইকেল একাকার হয়ে গেলে বাইকের ইলেকট্রিক সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তাই, কাদাপানি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ব্রেকিং সিস্টেম চেক করুন: মোটরসাইকেলের ব্রেকিং সিস্টেম বৃষ্টির পানি ও কাদা লেগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাইকে দীর্ঘদিন ধরে কাদাপানি লেগে থাকতে দিবেন না। বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হওয়ার আগে ব্রেক চেক করে নিন। বাইকের ব্রেকিং ডিস্ক নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

হেডলাইট: পানি লেগে মোটরসাইকেলের হেডলাইট ও সিগনাল লাইট নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই, হেডলাইট ও সিগনাল লাইটের ভেতরে পানি ঢুকে গেলে তা দ্রুত বের করুন।

বর্ষায় চালকদের জন্য করণীয়

⇒ বর্ষায় বাইক রাইডের আগে হেলমেট ও অন্যান্য সুরক্ষা কিট ব্যবহার করুন।
⇒ বর্ষায় রেসিং নয়, ক্লাসিক মুডে বাইক চালান।
⇒ দ্রুত ও যত্রতত্র ওভারটেকিং থেকে বিরত থাকুন।
⇒ রেইনকোট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেন ভিজে না যায়, সেজন্য ছোট ব্যাগ সঙ্গে রাখুন।
⇒ ওয়াটারপ্রুফ হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন।
⇒ নিরাপদ বাইকিংয়ের জন্য সবসময় ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।

বাইকের যাত্রী হিসেবে করণীয়

→ হেলমেট ও অন্যান্য সুরক্ষা কিট ব্যবহার করুন।
→ চালককে কখনো দ্রুত বাইক চালানোর জন্য চাপাচাপি করবেন না।
→ বাইক চলাকালে চালকের সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া বেশি কথাবার্তা বলবেন না।
→ বাইক চলাকালে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলবেন না।
→ নিয়মিত মোটর বাইকের যাত্রী হয়ে থাকলে সঙ্গে ব্যক্তিগত রেইনকোট রাখুন।
→ বাইকের পেছনে বসে অহেতুক নড়াচড়া করবেন না।
→ অন্য বাইকের সঙ্গে প্রতিযোগীতা করার জন্য চালককে উৎসাহিত করবেন না।
→ সবসময় মনে রাখবেন, চিরতরে বাড়িতে না ফেরার চেয়ে দেরিতে বাড়ি ফেরা উত্তম।

 

তথ্যসূত্র: হার্লি ডেভিডসন।

১০ জুলাই ২০২৩, ০৭:৫৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।