• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

যে ৯ অভ্যাসে আসবে সফলতা

যে ৯ অভ্যাসে আসবে সফলতা

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

মানুষ সবসময় সুখী, স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনশীল জীবনযাপনের আশা করে। এজন্য কেউ কেউ নিজের অভ্যাস বদলে ফেলেন। কেউ কেউ আবার কি রেখে কি করবেন, তার হিসেব খুঁজে পান না। জীবনকে সুন্দর ও গোছালো করতে হলে আপনাকে কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হতে হবে। কি করছেন, কি করবেন, কেন করবেন এবং কিভাবে করবেন, সেই সম্পর্কে আপনার ধারণা হতে হবে স্পষ্ট।

সহজভাবে বলতে গেলে, নিয়ম না মেনে কোনো কাজেই প্রকৃত সফলতা আসে না। এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা, একজন মানুষের গোটা জীবন বদলে দিতে পারে। যেমন-

বই পড়ুন

বই পুস্তক পড়ার অভ্যাস দারুণ এক বিনিয়োগ। বই পড়লে আপনার কখনো হারানোর শঙ্কা থাকবে না। বই এমন একটি উপকরণ, যা আপনার সময়ের সঠিক মূল্য দান করে। যেকোনো ধরণের বই পড়ার অভ্যাস করুন। অবসর সময় পেলেই বই পড়ুন। বই সৃজনশীলতার প্রতীক।

নিজের বিছানা গুছিয়ে রাখুন

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা বিছানা থেকে উঠার পর দায়িত্ব ভুলে যান। কিন্তু আপনি কি জানেন, নিজের বিছানা পরিপাটি রাখার মাঝে মানসিক প্রশান্তি রয়েছে? বিছানা পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখার অভ্যাস করুন। এই অভ্যাসটি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও পরিপাটি করে রাখবে।

দিনের কাজ গুছিয়ে রাখুন

প্রতিদিন আপনি যেসব কাজ করবেন, তা আগের দিন ঠিক করে রাখুন। প্রয়োজনে ডায়রিতে লিখে রাখুন। আপনার স্মার্টফোনেও নোটস করে রাখতে পারেন দিনের কার্যসূচি। সফল মানুষের সকল কাজই হতে হবে পরিকল্পিত। হুট করে কোনো কাজ করতে গেলে আপনি সফল নাও হতে পারেন।

ঘরের জানালা খুলুন

বাসায় অবস্থানকালীন গম্ভীরতা পরিহার করুন। ঘরের জানালা খোলা রাখুন। বাইরের আলো বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে দিন। জানালা খোলা ঘরে সতেজতা থাকে। ফলে মনও সতেজ হয়ে ওঠে। নিজের ঘরকে প্রশান্তির কেন্দ্র বানান।

অ্যালার্ম ঘড়ি দূরে রাখুন

অনেকেই সকালে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠার জন্য বিছানার পাশে অ্যালার্ম ঘড়ি রেখে দেয়। গবেষণা বলছে, এ ধরণের মানুষেরা কখনোই সঠিক সময়ে বিছানা ছাড়তে পারে না। অ্যালার্ম ঘড়ির সংকেত মূলত আপনাকে অলস করে রাখে। আপনার মনের জোর কমে যায়। তাই, সকালে ঘুম থেকে উঠার জন্য নিজের মনকে চাঙ্গা করুন, আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।

শরীরচর্চা ও পানি পান করুন

নিয়মিত সকালে অথবা বিকালে শরীরচর্চা করুন। এই অভ্যাস শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি আপনাকে মানসিক ভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। একই ভাবে পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি পান করুন। পানি মানুষের মস্তিষ্কে ইতিবাচক ধারণা ও শরীরে সবকিছুর ভারসাম্য রক্ষা করে।

সঠিক সময়ে নিয়মিত ঘুমান

প্রতিনিয়ত একই সময়ে নিয়ম করে ঘুমাতে যান। দিনের ঘুম পরিহার করুন। রাতে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। রাত ৯টার ভেতরে বিছানায় ঘুমানোর প্রস্তুতি নিন। সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠুন। নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

নিজেই নাস্তা তৈরি করুন

নিজের কাজ নিজে করার মাঝে আনন্দ আছে। আপনি সকালে নিজের নাস্তা নিজেই তৈরি করার চেষ্টা করুন। নিজের কাপড়, নিজের খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। নিজের কাজ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।

মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলুন

তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে মোবাইল ফোন এক অপরিহার্য অনুসঙ্গ। কিন্তু, আপনাকে সঠিক ও সুন্দর জীবন গড়তে হলে অবশ্যই মোবাইল ফোনের সীমাহীন ব্যবহার কমাতে হবে। ঘুমানোর সময় ফোন দূরে রাখুন। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং কিংবা কাজের সময় ফোন বন্ধ রাখুন। নিয়ম করে ফোন ব্যবহার করুন।

 

তথ্যসূত্র: লাইফস্টাইল।

২০ জুন ২০২৩, ০৬:৩০পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।