• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মানসিক প্রশান্তি পাওয়ার কিছু উপায়

মানসিক প্রশান্তি পাওয়ার কিছু উপায়

ফিচার ডেস্ক

আমাদের জীবনযাত্রা ক্রমেই যান্ত্রিক ও জটিল হয়ে উঠছে। বাধাধরা নিয়ম ও রুটিন মাফিক কর্মজীবনে প্রশান্তি উধাও। আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে মানুষ যেন তার প্রাকৃতিক আচার বৈশিষ্ট ভুলে গেছে। এই ক্রমাগত চাপের সাথে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে গিয়ে প্রায়শই আমরা ভুলে যায় যে, আমাদের ‘বেঁচে থাকতে হবে’।

সুস্থ ও মননশীল জীবনের জন্য মানসিক সুস্থতা বা প্রশান্ত জীবনাচার অত্যন্ত জরুরি। চিন্তাভাবনাগুলিকে বর্তমানের দিকে নিয়ে আসতে হবে। এত বেশি ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা বা অতীত নিয়ে আফসোস রাখা উচিত নয়। তাই, মানসিক প্রশান্তি ও মননশীল সুস্থ জীবনধারা গঠনের জন্য কিছু বিষয় মেনে চলুন। তাহলে সহজেই জীবন হবে শান্তির, মন হবে ফুরফুরে।

থামুন এবং শ্বাস নিন

সবসময় কাজে ডুবে থাকবেন না। জীবনকে বিশ্রাম দিন। মননশীল হওয়ার মানে হলো, বর্তমান মুহুর্তের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বর্তমানকে ভালো ভাবে উপভোগ করুন। কাজ কর্মের মাঝে একটু থামুন, দায়িত্ব পালনের মাঝেও একটু থামুন। খোলা আকাশের নিচে নির্জনে শ্বাস নিন।

মননশীল ও পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস

আপনি সবসময় একই রকমের খাবার খাবেন না। মাঝে মাঝে ব্যতিক্রমী খাবার চেখে দেখুন। ঘরের বাইরে বের হন, বাইরের স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দেখুন। অন্যকে দিয়ে রান্না করে নিয়ে সেই খাবার খান। অন্যের পছন্দে প্রতিনিয়ত খাবার খেতে খেতে আপনি ক্লান্ত, তাই নিজের মতো করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ইচ্ছেমত শরীরচর্চা করুন

নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে করতে একসময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, এমন মানুষ অনেক আছে। তাই, মাঝে মাঝে নিজের মতো করে বাড়ি থেকে বের হন। ইচ্ছেমতো হাটুন। চেনা রাস্তা বাদ দিন। নতুন রাস্তায় নতুন দিকে ফিরুন। নতুন নতুন কৌশলে শরীরচর্চা করুন। নিয়মতান্ত্রিক শরীরচর্চার সঙ্গে যোগব্যায়াম, দৌড়ানো বা সাঁতার কাটুন। সন্ধ্যার পর হাটুন। মন ভালো হয়ে যাবে।

মনের চাওয়া পূরণ করুন

আপনার মন বড্ড খেয়ালি। সবসময় মনকে বশ করে রাখবেন না। মাঝে মাঝে মনের চাওয়ার সঙ্গে নিজেকে উজাড় করে দিন। মন যা চায়, তাই করুন। এতে করে আপনার মন ও মনন দুটোই তৃপ্ত হবে। সবসময় মনের ওপর জোর চাপিয়ে দিবেন না। আপনার চারপাশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন হয়ে উঠুন।

ধ্যান করুন

মেডিটেশন হল মননশীলতা অনুশীলন করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সময় পেলেই এটি অনুশীলন করুন। এতে মন এবং শরীর দুটোই রসদ পাবে। নিজেকে এমন ধ্যানে মগ্ন করুন, যেন আপনি শান্তি অনুভব করতে পারেন। ধ্যান আপনার সুখের অনুভূতি, আপনার শক্তির মাত্রা এবং এমনকি আপনার অনুপ্রেরণার অনুভূতি বাড়াতে পারে।

অনুভূতিগুলোকে প্রাধান্য দিন

আমরা অধিকাংশ সময় নিজের মত ও নিজের অনুভূতিকে পাত্তা দিই না। এটি ভুল। নিজের অনুভূতিকে প্রাধান্য দিন। নিজের চাওয়া ও নিজের আন্তরিক বাসনা নিয়ে ভাবুন। নিজের চিন্তাভাবনাগুলি অনুভব করুন। ভুল বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তা করুন। নিজের প্রতিটি কর্মকে নিজেই পর্যবেক্ষন করুন। নিজের কাজকে নিজে মুল্যায়ন করুন।

প্রার্থনা করুন

আপনার দৈনন্দিন জীবনে মননশীলতা ও সুন্দর শান্ত মানসিক স্বাস্থ্য পেতে নিয়মিত প্রার্থনা করুন। প্রার্থনায় রত মানুষেরা মানসিক ভাবে সবচেয়ে ভালো থাকে। প্রার্থনা এমন একটি অভ্যাস, যা মানুষকে শান্ত রাখে। এটি মানুষের উদ্বেগ দূর করে। ভাসমান মন নিয়ে শান্তি মেলে না, তাই প্রার্থনা করতেই হবে।

 

তথ্যসূত্র: মন্ট্রিল সিবিটি সাইকোলজি।

১৭ জুন ২০২৩, ০৪:৪৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।