• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যেসব খাবারে দূর হবে অ্যাসিডিটি

যেসব খাবারে দূর হবে অ্যাসিডিটি

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

ভেজাল খাবার ও খাবারে অতিরিক্ত তেল-মসলার ব্যবহার অ্যাসিডিটি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণের ফলেও অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। বর্তমানে অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন না, এমন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পাওয়া ভার। পেট জ্বালাপোড়া, পেট ফাপা, পেট ফুলে যাওয়া, বদহজম সহ পেটের সমস্যা অ্যাসিডিটির কারণে হয়।

কিন্তু আপনি কি জানেন, কিছু খাবার খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়। আবার খাবার গ্রহণে কিছু নিয়ম মেনে চললেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়?

গবেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত খাবার, ঝাল খাবার, অতিরিক্ত ওজন, অতিরিক্ত মদপান কিংবা কফি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। পেটের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাসিডের নিঃসরণে মূলত অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। অ্যাসিডিটির প্রধান উপসর্গ বুক-জ্বালাপোড়া।

অ্যাসিডিটি দূর করে যেসব খাবার

ডাবের পানি: অ্যাসিডিটি বেড়ে গিয়ে যদি বুক জ¦ালাপোড়া করে, তাহলে দ্রুত ডাবের পানি পান করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের পানি সবচেয়ে দ্রুত ও কার্যকর ভাবে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে।

গরম দুধ: অনেকেই মনে করে থাকেন, দুধ খেলে অ্যাসিডিটি বাড়ে। এই ধারণা ঠিক নয়। গরম দুধ অ্যাসিডিটির সমস্যা নিরাময় করে। কিন্তু ঠাণ্ডা দুধ খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যেতে পারে।

পরিমিত খান: সুস্থ শরীরের জন্য পরিমিত খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। নিজের পেটের তিন ভাগের এক ভাগ খাবার দিয়ে পূর্ণ করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সেই সাথে পেটে ক্ষুধা ক্ষুধা ভাব রাখুন।

লেবু পানি: সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয়টি অ্যাসিডিটির পূরনো সমস্যা দূর করে।

পুদিনা পাতা: অ্যাসিডিটি থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তি দিতে পারে পুদিনা পাতা। গরম পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে নিন। এরপর পাতা তুলে ফেলে দিয়ে পানটুকু পান করুন। অ্যাসিডিটি পালাবে।

লবঙ্গ: যাদের অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে। তারা প্রতিদিন দুই-তিন টুকরো মুখে চিবিয়ে খেতে পারেন। লবঙ্গ অত্যন্ত কার্যকরী একটি মসলা।

সবজি: সজনে ডাটা, শিম, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি ও গাজরে অ্যাসিডিটি ঠেকানোর উপাদান আছে। এ ধরনের সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

যেসব খাবার ও অভ্যাসে ‘না’

ঘুমের আগে খাবার নয়: ঘুমানোর কমপক্ষে দুই তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। ভারী খাবার খাওয়ার পরপরই রাতে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। এতে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায় এবং হজমশক্তি কমে যায়।

কোমল পানীয় ত্যাগ করুন: অনেকে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির আশায় ভারী খাবার খাওয়ার পর কোমল পানীয় পান করেন। এটি ভুল। কোমল পানীয় অ্যাসিডিটি কমায় না, বরং এটি অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। কোমল পানীয়ের পরিবর্তে গ্রীন টি পান করুন।

ধূমপান ছাড়ুন: অ্যাসিডিটিমুক্ত জীবন গড়তে হলে আপনাকে আজই ধূমপান ছাড়তে হবে।

মসলাযুক্ত খাবার বাদ: অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। আচার, ঝাল চাটনি, ভারী মসলার ভুনা তরকারি খাওয়া কমাতে হবে। এসব খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

২৪ মে ২০২৩, ০৪:৩০পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।