• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

চা কফির জাদুকরি ক্ষমতা ও ক্ষতি

চা কফির জাদুকরি ক্ষমতা ও ক্ষতি

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

চা আমাদের দৈনন্দিক খাবার তালিকার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ কেউ আবার কফিতে বুদ হতে পছন্দ করেন। এমন মানুষও আছেন, সকালের নাস্তায় কফি না হলে যেন মাথায় তাদের আকাশ ভেঙে পড়ে। চা কিংবা কফি, আমাদের শরীরের জন্য এই দুটি পানীয় বেশ উপকারি। শরীর মন চাঙ্গা রাখতে চা ও কফির বিকল্প পাওয়া কঠিন। তবে, চা-কফি যে সব সময় সবার জন্য উপকার বয়ে আনে, তা কিন্তু নয়। কখনো কখনো কারও কারও জন্য চা-কফি হতে পারে ক্ষতির কারণ।

গবেষকরা বলছেন, চা ও কফিতে থাকে ক্যাফেইন। যা মানবদেহের উপকারি। আবার এই ক্যাফেইনের মাত্রা দেহে বেড়ে গেলে হতে পারে বিপত্তি। তাই, আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে চা ও কফি খাওয়ার ব্যাপারে মাত্রা বজায় রাখা উচিত।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত চা-কফি খেলে মানসিক অস্থিরতা, নিদ্রাহীনতা, বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি কি জানেন, এক কাপ লিকার চায়ে কম-বেশি ১৪-৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ কফিতে ক্যাফেইন থাকে ৯৫ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত। তাই কফি খাওয়ার ব্যাপারে পরিমিতি বজায় রাখা জরুরি।

উপকারিতা

জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবজার্নাল হেলথ লাইন ও ওয়েব এমডি’তে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, চা ও কফি-

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর: রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের হাত থেকে রক্ষা পেতে শরীরে যাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি না হয়, সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। আর তাই, চা ও কফি খেতে পারেন। বিশেষ করে লিকার চায়ে থাকা থিয়াফ্লাভিনস, ক্যাটচিন এবং কফিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্লোরোজেনিক এসিড দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করে।

শক্তি বৃদ্ধি পায়: ক্লান্তি দূর করতে কফির জুড়ি মেলা ভার। তবে চা-ও কম না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, দ্রুত দৈহিক শক্তি ফেরাতে চায়ের থেকে কফির কার্যক্ষমতা একটু বেশিই। কারণ, কফিতে ক্যাফেইনের পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক এসিড ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই উপদানটি শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয়। এতে ওজন কমে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

চা খাওয়ার ক্ষতি

স্বাস্থ্য গবেষক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, চা ও কফিতে রয়েছে ট্যানিন। এ ছাড়া এতে রয়েছে নানা ধরনের অ্যাসিড এবং ক্রোমোজেন। এই তিনটি উপাদানই দাঁতের রং পাল্টে দেয়ার কাজে পটু। পাশাপাশি এই তিনটি উপাদান দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। তাই দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে চা ও কফি খাওয়া সীমিত করুন।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

সব দিক বিচার করলে কফির থেকে চা-ই বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে চা-কফি যা-ই খান না কেন, তাতে চিনি না খাওয়ার অভ্যাস করুন। চিনি একটি সক্রিয় কোমল ঘাতক। যা আপনার দেহে মারাত্মক রোগের জন্ম দিতে পারে। প্রয়োজনে চা-কফিতে দুধ মেশাতে পারেন। তবে, সেটিও নিয়মত করবেন না।

 

তথ্যসূত্র- হেলথ লাইন ও ওয়েব এমডি।

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।