• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংকট সহিংসতায় নিহত ৮, সেনা আশ্রয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

সংকট সহিংসতায় নিহত ৮, সেনা আশ্রয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

ছবি- সংগৃহিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভয়াবহ সংকটে পড়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ গণবিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভের আগুনে উত্তাল দেশটির ছোট বড় সব শহর। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা। সাধারণ নাগরিকদের টানা বিক্ষোভের মুখে সোমবার পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। তবুও থামেনি সহিংসতা।

সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার (১০ মে) পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সহিংসতায় সরকার দলীয় এমপিসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন।

এরই মধ্যে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছে। পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় মাহিন্দা রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যরা সেনা সদর দপ্তরে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে রাজধানী কলম্বোর সরকারি বাসভবন থেকে তাদের সরিয়ে নেয় ভারী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত সেনারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এর পরই সেনা সদস্যরা রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা জোর করে কলম্বোর ‘টেম্পল ট্রিস’ বাসভবনে প্রবেশ করার পর প্রধান দ্বিতল ভবনে হামলার চেষ্টা চালায়। এই বাসভবনেই রাজাপাকসে তার নিকটাত্মীয় ও পরিবারের সাথে অবস্থান করছিলেন। অবশ্য বিক্ষোভকারীদের আটকাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ার গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসভবনের কম্পাউন্ডে কমপক্ষে ১০টি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও তার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। অবশ্য তাদের বাসভবন থেকে সরিয়ে ঠিক কোথায় নেয়া হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগের পরই মাহিন্দা রাজাপাকসেকে আটকের দাবি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। মূলত শান্তিপূর্ণ সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেয়ার জন্য সদ্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে আটকের দাবি তোলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৈদেশিক মুদ্রার অভাবের কারণে শ্রীলঙ্কায় এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। কারণ নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা নগণ্য হওয়ায় এই দ্বীপরাষ্ট্রকে অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

এজন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন। অথচ রাজকোষ ফাঁকা! ফলে পণ্যের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। যা শেষমেষ মহাসংকটে রূপ নিয়েছে।

১০ মে ২০২২, ০৫:৩৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।