• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার ৪৩ কূটনীতিক বহিষ্কার, ইউক্রেন থেকে সেনা সরাচ্ছে মস্কো

রাশিয়ার ৪৩ কূটনীতিক বহিষ্কার, ইউক্রেন থেকে সেনা সরাচ্ছে মস্কো

ছবি- সংগৃহিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যে এবার ৪৩ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ইউরোপের চারটি দেশ। সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও চেক রিপাবলিক রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। এদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া। তুরস্কের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ বাহিনী।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোফি উইল্মস মঙ্গলবার বলেন, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব রুশ কূটনীতিককে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির পাল্যামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তার দেশে নিযুক্ত রুশ কূটনীতিকদের বেলজিয়াম ত্যাগ করতে হবে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বেলজিয়ামে নিযুক্ত রুশ কূটনীতিকের সংখ্যা ২১ জন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে বেলজিয়াম ছাড়তে হবে। এছাড়া নেদারল্যান্ডস ১৭ জন, আয়ারল্যান্ড ৪ জন এবং চেক রিপাবলিক একজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো একজোট হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোলান্ডও রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

এদিকে তুরস্কের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, রাজধানী কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে তাদের সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেবে রাশিয়া।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথম যুদ্ধ বন্ধে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার পর থেকে কমতে শুরু করেছে উত্তেজনার পারদ। রুশ ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্দার ফোমিন শান্তি আলোচনা শেষে আশ্বাস দিয়েছিলেন পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করা এবং আরও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করবে রাশিয়া।

৩০ মার্চ ২০২২, ০৪:০২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।