• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

হৃদরোগ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ‘অ্যাভোকাডো’

হৃদরোগ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ‘অ্যাভোকাডো’

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

চমৎকার একটি ফল ‘অ্যাভোকাডো’। অধিকাংশ ফলে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকলেও অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি। এ ছাড়া এতে রয়েছে নানা ধরণের পুষ্টি উপাদান। অ্যাভোকাডো দেশি ফল না হলেও বাংলাদেশে এই ফলে এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে। দামে কিছুটা বেশি হলেও শহরের বাজারগুলোতে অ্যাভোকাডো পাওয়া যায়।

প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে নেয়া যাক কি আছে অ্যাভোকাডোতে-

পরিচয়:
অ্যাভোক্যাডোর অভ্যন্তরীণ হলুদ-সবুজ মাংসল অংশ খাওয়া হয়, তবে খোসা এবং বিচি ফেলে দেয়া হয়। এতে ২০ রকমের ভিটামিন এবং খনিজ সহ বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। অ্যাভোকাডোর ইংরেজি নাম avocado। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Persea americana। অ্যাভোকাডো মূলত মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। যা লরেসি পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। ফলটির খোসা কুমিরের গায়ের মত অমসৃণ হওয়ায় এটা কুমির নাশপাতি হিসেবেও পরিচিত।

পুষ্টিগুণ:
হেলথ লাইন, হেলথ বেটিফিট টাইমস ও উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে বলা হয়েছে, অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট।

স্বাস্থ্য গবেষক ও পুষ্টিবিদদের বরাত দিয়ে জনপ্রিয় মার্কিন ওয়েবসাইট হেলথ লাইন জানিয়েছে, ভিটামিন সি ও উদ্ভিজ ফ্যাটের উত্তম উৎস অ্যাভোকাডো। সারাবিশ্বে অ্যাভোকাডো বেশ জনপ্রিয়। তবে একেক দেশে একেক রকমভাবে অ্যাভোকাডো খাওয়া হয়।

উপকারিতা:
জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন, হেলথ বেটিফিট টাইমস ও উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে বলা হয়েছে, অ্যাভোকাডো-

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: রক্তচাপ কমাতে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং ধমনী ফলকের ধীর বিকাশ ঘটাতে অ্যাভোক্যাডো খুবই কার্যকরী। তাছাড়া অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে অ্যাভোকাডো তুলনাহীন।

হজমে সহায়তা করে: প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অ্যাভোকাডো রাখুন। এটি আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধিতে বুস্টার হিসেবে কাজ করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: গবেষকরা বলছেন, অ্যাভোকাডোতে থাকা প্রাকৃতিক খাদ্যআঁশ বা ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিলতা দূর হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম অ্যাভোকাডোতে প্রায় ১০ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।

রোগ প্রতিরোধ করে: অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি। এই ভিটামিন বি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: এই ফলে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং উদ্ভিজ্জ খনিজ দেহে থাকা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

ঘুম ভালো হয়: যারা ইনসোমনিয়া বা নির্ঘুমতায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করে। ফলে ঘুম ভালো হয়।

ওজন কমায়: অ্যাভোকাডো হলো ওজন কমানোর সর্বোত্তম উপযোগী খাবার। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, খাবারের সঙ্গে অ্যাভোকাডো খেলে ২৩% বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। সুতরাং আপনার ডায়েট চার্টে অ্যাভোকাডো যোগ করলে এটি স্বাভাবিকভাবেই আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: অ্যাভোকাডোতে রয়েছে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যারোটিনযুক্ত লুটেন এবং জেক্সানথিন। এই দুটি উপাদান চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

চুল ও ত্বক ভালো রাখে: পেন্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি ৫) প্রায় প্রতিটি ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। আর এই উপাদানটি পাওয়া যায় অ্যাভোকাডোতে। তাই চুল ও ত্বক ভারো রাখতে খাবারতালিকায় রাখুন অ্যাভোকাডো।

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন, হেলথ বেটিফিট টাইমস ও উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসএন

২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৫০পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।