• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

আমের উপকারিতা

আমের উপকারিতা

প্রতিকী ছবি

স্বাস্থ্য ডেস্ক

আম আমাদের সবারই খুব প্রিয় ফল। পৃথিবীর অনেক জায়গাতে আমকে ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে। ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। গবেষণায় দেখা গেছে, আম আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে ভালো রাখার সাথে সাথে হজম শক্তি বাড়ায় এবং দৃষ্টিশক্তিকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করে। এমনকি আম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

ক্যান্সার রোধে আমের কার্যকারিতা
ডাক্তারের মতে, আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এনটিঅক্সিডেন্ট যেমন- কোরেসেটিন, ফিসেটিন, গ্যালিক এসিড, মিথাইল গ্যালেট যা আমাদের শরীরকে স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার এবং লিউকেমিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

কোলেসটেরল কমাতে আম
আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার ও পেকটিন যার ফলে রক্তে খারাপ কোলেসটেরল বা লো ডেনসিটি লিপো-প্রোটিন কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ত্বক পরিষ্কার রাখে
আমে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ যা ত্বককে ভালো রাখতে খুবই উপকারী। এগুলি ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ত্বকে নতুন জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
প্রতিদিনের ডায়েটে আম থাকা খুব উপকারী, কারণ আম আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন যা ভিটামিন এ উৎপাদন করতে সাহায্য করে। আমের এনটিঅক্সিডেনট দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার সাথে সাথে বার্ধক্য জনিত নানান চোখের সমস্যা সমাধান করে থাকে।

হজম শক্তি উন্নত করে
আম একটি এনজাইমযুক্ত ফল যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত প্রোটিনের পরিমাণ কমায়। আমের আঁশের গুনাগুণ হজমে ও পরিপাকে সহায়তা করে। এছাড়াও আমে যেহেতু প্রচুর পানি এবং ফাইবার রয়েছে তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যার সমাধান করে থাকে।

ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখে
আমে ভিটামিন সি, এ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যারোটিনয়েড থাকে। ভিটামিন এ শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) ভালো রাখতে খুবই উপকারী, কারণ ভিটামিন এ আমাদের যেকোনো ধরনের ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে এবং ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও দূর করে থাকে। এছাড়াও আমে রয়েছে ভিটামিন কে, ই, এবং ভিটামিন বি যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখতে দারুণ সাহায্য করবে।

এছাড়া যাদের শরীরে আইরন বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাদের আম খাওয়া উচিত কারণ আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন ও ক্যালসিয়াম।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম:

আমরা অনেকেই হয়ত ভেবে থাকি যে আম মিষ্টি তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু এই ধারনাটি একদমই ভুল। খেতে মিষ্টি হলেও আম ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারবেন। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স গড় ৪১ থেকে ৬০ পর্যন্ত যা গড়ে ৫১ হয়। ৫৫ এর কম হলে তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ হিসেবে ধরা হয়। কম গ্লাইসেমিক খাবারগুলো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত বাড়ায় না। যার ফলে শরীরে কোন প্রকার অসুবিধা তৈরি হয়না এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

আমে ক্যালরি কম কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর। জেনে নেওয়া যাক ১ কাপ আমের (১৬৫ গ্রাম) পুষ্টিগত উপাদান।

ক্যালরিঃ ৯৯
প্রোটিনঃ ১.৪ গ্রাম
কার্বসঃ ২৪.৭ গ্রাম
ফ্যাটঃ ০.৬ গ্রাম
ডাইবেটিক ফাইবারঃ ২.৬ গ্রাম
ভিটামিন সিঃ ৬৭%
কপারঃ ২০%
ফলেটঃ ১৮%
ভিটামিন বি ৬ঃ ১১.৬%
ভিটামিন এঃ ১০%
ভিটামিন ইঃ ৯.৭%
ভিটামিন বি ৫ঃ ৬.৫%
ভিটামিন কেঃ ৬%
নিয়াসিনঃ ৭%
পটাসিয়ামঃ ৬%
রিবফ্লেবিনঃ ৫%
ম্যঙ্গানিসঃ ৪.৫%
থায়ামিনঃ ৪%
ম্যগ্নেসিয়ামঃ ৪%

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

 

এবি/এনজে/এসএন

২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:০৫পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।