• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

সুস্বাস্থ্যের জন্য সেরা উপাদান ‘মিষ্টি কুমড়ার শাক’

সুস্বাস্থ্যের জন্য সেরা উপাদান ‘মিষ্টি কুমড়ার শাক’

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া তুলনাহীন। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেলস ও খনিজ উপাদানে ভরপুর মিষ্টি কুমড়া নানা ভাবে খাওয়া যায়। তবে মিষ্টি কুমড়ার শাক বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। যারা শাক খেতে ভালোবাসেন, তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় মিষ্টি কুমড়ার শাক থাকতেই পারে।

প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে নেয়া যাক কি আছে মিষ্টি কুমড়ার শাকে-

পরিচয়:
মিষ্টি কুমড়ার ইংরেজি নাম Sweet gourd বা Pumpkin। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Cucurbita moschata। মিষ্টি কুমড়ার উৎপত্তি মধ্য আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তবে মিষ্টি কুমড়ার শাক খাওয়ার প্রচলন বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা অঞ্চলে। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই মিষ্টি কুমড়ার শাক পাওয়া যায়।

পুষ্টিগুণ
বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস ও উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, মিষ্টি কুমড়ার শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এতে আরও আছে খাদ্যআঁশ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার শাকে রয়েছে-

ক্যালরি- ২৬ কিলোক্যালরি,
আমিষ- ১ গ্রাম,
শর্করা- ৫ গ্রাম,
আঁশ- ০.৫ গ্রাম,
চর্বি- ০.১ গ্রাম,
ভিটামিন এ- ৭২০০ মাইক্রোগ্রাম,
ভিটামিন সি- ৯ মিলিগ্রাম,
পটাশিয়াম- ৩৪০ মিলিগ্রাম,
ক্যালসিয়াম- ২৪ মিলিগ্রাম,
আয়রন- ০.৮ মিলিগ্রাম এবং
ফসফরাস- ৪৪ মিলিগ্রাম।

উপকারিতা:
আনন্দবাজার, উইকিপিডিয়া ও বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিসের নিবন্ধে বলা হয়েছে, মিষ্টি কুমড়ার শাক-

আয়রনের ঘাটতি পূরণ: কুমড়ার পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে দেহের রক্তশূন্যতা দূর করে। নারী ও শিশুদের দেহের আয়রনের ঘাটতি দূর করতে মিষ্টি কুমড়ার শাক খুবই কার্যকরী।

ক্ষত সারায়: এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। তাই যে কোনো আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করতে কুমড়া শাক খেতে পারেন।

হাড় মজবুত করে: কুমড়ার শাক দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ হাড় ও দাঁত মজবুত করে।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার মিষ্টি কুমড়ার শাকের তরকারি, স্যুপ বা কুমড়া পাতার রস খেতে পারেন। এটি চোখের ছানিপড়া রোগ প্রতিরোধ করে।

ত্বক ভালো রাখে: মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এটি চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষাও ব্যাপক কার্যকরী।

বুকের দুধ বাড়ায়: মাতৃত্বকালীন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য কুমড়ার শাক অত্যন্ত উপকারী। এটি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে ব্যাপক কার্যকরী।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে: মিষ্টি কুমড়ার শাকে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: এই শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্যআঁশ, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার শাক খেতে পারেন।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস, আনন্দবাজার ও উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসএন

১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:০৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।