• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ওজন কমায় খুশকি দুর করে ‘লেটুস পাতা’

ওজন কমায় খুশকি দুর করে ‘লেটুস পাতা’

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

ওজন কমায় খুশকি দুর করে ‘লেটুস পাতা’

আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য। চিকিৎসকেরা বলছেন, সুস্থ্য থাকতে হলে বেশি বেশি তাজা শাকসবজি খেতে হবে। দৈনন্দিন খাবার তালিকায় রাখতে হবে ফলমূল। এছাড়া সালাদ খাওয়ার অভ্যাস সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বেশ কার্যকর। আমাদের দেশে প্রচলিত সালাদ কিংবা তরিতরকারি রান্নায় লেটুস পাতা ব্যবহার করা হয়। এটি সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে নেয়া যাক, কী আছে লেটুস পাতায়-

পরিচয় : লেটুস (Lactuca sativa) ডেজি (Daisy) পরিবারের এস্টেরাসি গোত্রের একটি বার্ষিক উদ্ভিদ। লেটুস গাছের পাতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া হয়। প্রাচীন মিশরীয়রা আগাছা থেকে সর্বপ্রথম লেটুস আবিষ্কার করেন। যার বীজ ব্যবহার করে তেল তৈরি করা হয় এবং এর সরস পাতাগুলো খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
এছাড়া তেলসমৃদ্ধ বীজের কারণে পরবর্তিতে এটি গ্রিক এবং রোমানদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যা পরবর্তিতে ল্যাকটুকা নামে পরিচিতি পায়। এটিকে আধুনিক ইংরেজিতে বলা হয় ‘লেটুস’।

পুষ্টি উপাদান : উইকিপিডিয়া, জি নিউজ ও হেলথ লাইন ডটকম পৃথক নিবন্ধে দাবি করেছে, লেটুস পাতায় রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেলস ও খনিজ উপাদান। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে।

বলা হয়েছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুস পাতায় রয়েছে
ফ্যাট ০.২ গ্রাম
সোডিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম
ক্যালরি ১৫ কিলোক্যালরি
পটাশিয়াম ১৯৪ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ২.৯ গ্রাম
আঁশ ১.৩ গ্রাম
প্রোটিন ১.৪ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৪ শতাংশ
আয়রন ৪ শতাংশ
ভিটামিন সি ১৫ শতাংশ
ভিটামিন বি ৫ শতাংশ এবং
ম্যাগনেসিয়াম ৩ শতাংশ।

উপকারিতা : বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস, উইকিপিডিয়া ও জি নিউজে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, লেটুস পাতা-

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : বলা হয়েছে, লেটুস পাতা আঁশযুক্ত খাবার। এটি খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

কিডনি ভালো রাখে : কিডনির সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা লেটুস পাতা খেতে পারেন। এতে থাকা ভিটামিন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান প্রসাবের মাধ্যমে দেহের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়।

ওজন কমায় : লেটুস পাতায় রয়েছে ৯৫.৫ গ্রাম পানি ও পর্যাপ্ত খাদ্যআঁশ। এসব উপাদান দেহ সুস্থ-সবল রাখে। এছাড়া এতে থাকা জলীয় অংশ শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সহায়তা করে। ফলে ওজন কমে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি করে : এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ-সহ পর্যাপ্ত খাদ্যআঁশ, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

ত্বক উন্নত করে : ত্বকের যত্নে লেটুস পাতার জুড়ি মেলা ভার। সুপ্রাচীন কাল থেকে ত্বকের ছেঁড়া-কাটা দাগ ও খসখসে ভাব দূর করতে লেটুস পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে।

রক্তশূন্যতা দূর করে : রক্তশূন্যতা দূর করতে লেটুস পাতা অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুর দেহের রক্তশূন্যতা দূর করতে লেটুস পাতা দারুণ কাজ করে।

অ্যাসিডিটি দূর করে : যারা লেটুস পাতা নিয়মিত খান, গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি তাদের থেকে দূরে থাকবে।

চোখ ভালো রাখে : চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লেটুস পাতার জুড়ি মেলা ভার। পানিতে লেটুস পাতা মিশিয়ে, সেই পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে চোখ ধুয়ে ফেললে ইনফেকশন দূর হয়।

দাঁত ও হাড় মজবুত করে : লেটুস পাতায় রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, যা দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

খুশকি দূর করে : খুশকি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত লেটুস পাতা খান। এছাড়া লেটুস পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। এতে খুশকি দূর হবে।

তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস, উইকিপিডিয়া ও জি নিউজ

 

এবি/এসএন/আরএ

২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৮:০৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।