• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গরীবের মাংস মসুর ডালের পুষ্টিগুণ

গরীবের মাংস মসুর ডালের পুষ্টিগুণ

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

মসুর ডালকে বলা হয় গরিবের মাংস। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাদ্যশস্য এই ডাল। বাঙালির খাদ্য তালিকায় ডাল খুবই পরিচিত একটি উপাদান। বিভিন্ন প্রকার ডালের মধ্যে মসুর ডালের জনপ্রিয়তা বেশি। এর পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ মসুর ডালে রয়েছে অন্যান্য নানা খনিজ উপাদান ও ভিটামিন।

প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে নিই কি আছে মসুর ডালে-

পরিচয়

মসুর ডালের ইংরেজি নাম Red lentil। এ ডাল পানিতে সেদ্ধ করে তেল-মশলার সহযোগে নানাভাবে রান্না করা হয়। এটি দেখতে হালকা লাল বর্ণের। অন্যান্য ডালের চেয়ে এটি আকারে ছোট।

পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস ও উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর আমিষ, আঁশ, চর্বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন, শর্করাসহ নানা খনিজ উপাদান।

প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডালে রয়েছে

জলীয় অংশ ১২.৪ গ্রাম
খনিজ পদার্থ ২.১ গ্রাম
আঁশ ০.৭ গ্রাম
খাদ্য শক্তি ৩৪৩ কিলোক্যালরি
আমিষ ২৫.১ গ্রাম
চর্বি ০.৭ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম
আয়রন ৪.৮ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বি২ ০.৪৯ মিলিগ্রাম এবং
শর্করা ৫৯.০ গ্রাম।

উপকারিতা

বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, মসুর ডাল খেলে-

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে : মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর খাদ্যআঁশ, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি শরীরের পেশী গঠনে ভূমিকা রাখে। মসুর ডাল দেহে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

হৃদযন্ত্র সচল রাখে : মসুর ডাল দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদযন্ত্রের ঝুঁকি কমে। এটি দেহে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে মসুর ডালের কার্যকারিতা গবেষণায় প্রমাণিত। এটি দেহের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হজমশক্তি বাড়ে : এই ডালে রয়েছে উচ্চ ফাইবার (আঁশ)। যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখতে মসুর ডালের জুড়ি মেলা ভার।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মসুর ডাল টনিকের মতো কাজ করে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। যা শরীরকে শক্তিশালী করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : মসুর ডালে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সারের মতো জটিল দুরারোগ্য ব্যাধী প্রতিরোধ করে। মসুর ডালের পলিফেনোল উপাদান ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়।

দাঁত ও হাড়ের সুরক্ষা দেয় : প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে মসুর ডালে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও আয়রন। যা দাঁত ও হাড় গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত করে : মসুর ডালে রয়েছে ভিটামিন বি২। এছাড়া এতে রয়েছে অন্যান্য খনিজ উপাদান। যা মানসিক বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।

পেশী গঠনে সহায়তা করে : এই ডালে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। আর এই উপাদানগুলো দেহের পেশী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

সতর্কতা

যারা ইউরিক অ্যাসিড বা গেঁটে বাতে ভুগছেন, তারা মসুর ডাল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তথ্যসূত্র : জাতীয় কৃষি তথ্য সার্ভিস (বিডি) ও উইকিপিডিয়া

 

এবি/এসএন

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:২৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।