• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কলিজার যত গুণাগুণ!

কলিজার যত গুণাগুণ!

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

ভোজনরসিক বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার গরু-খাসির কলিজা। এই খাবারটি আমাদের দেহে রক্ত তৈরিতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে গরু ও ছাগলের কলিজা রক্ত তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে। কারণ, এতে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন। শিশু থেকে ৪০ বছর বয়স্ক মানুষের খাবার তালিকায় কলিজা রাখা উচিত। এ ছাড়া এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন 'এ' এবং আমিষ, যা দেহের শক্তিবৃদ্ধি ও হাড়ক্ষয় রোধে কাজ করে।

কলিজার পুষ্টিগুণ

ভিটামিন বি এর অন্যতম উৎস গরুর কলিজায় রয়েছে ভিটামিন বি১ থেকে শুরু করে বি১২ পর্যন্ত। এতে আরও আছে আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন এ এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান।

প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর কলিজায় রয়েছে (দৈনিক চাহিদার)- ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) ১২%, ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লেবিন) ২০১%, ভিটামিন বি৩ (নায়াসিন) ৮৭%, ভিটামিন বি৫ (প্যানটোথেনিক অ্যাসিড) ৬৯%, ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সাইন) ৫১%, ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন) ১৩৮%, ভিটামিন বি৯ (ফোলেট বা ফলিক অ্যাসিড) ৬৫% এবং ভিটামিন বি১২ (কোবালামিন) ১৩৮৬%।

কলিজা খেলে যা শরীরে যা ঘটে

⇒ শিশু থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সিদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কলিজা রাখুন। এই খাবারটি বাচ্চাদের বুদ্ধি এবং রক্ত দুটোই বৃদ্ধি করে। কলিজা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

⇒ কলিজায় রয়েছে প্রচুর সেলেনিয়াম নামক উপাদান। কাজেই, কলিজা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে ক্লোন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

⇒ গরু ও ছাগলের কলিজা শরীরের জয়েন্টের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কৃমি কিংবা হাঁপানি সমস্যা দূরে রাখে। নিয়মিত কলিজা খেলে এ সকল শারীরিক সমস্যা পরিমাণ কমে যায়।

⇒ বড় যেকোনো ধরনের অপারেশনের পর, গর্ভাবস্থায়, প্রচুর রক্তক্ষরণের পর, সন্তান জন্মদান বা মাতৃদুগ্ধ দানকালীন সময়ে কলিজা খাওয়া যথেষ্ট উপকারী। কারণ এতে রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়।

⇒ কলিজায় থাকা পর্যাপ্ত জিংক মানবদেহের ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন জ্বর, সর্দি, টনসিলাইটিস ভাইরাস নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই, শরীরে জিংকের চাহিদা মেটাতে কলিজা খান।

শিশুর জন্য কলিজা কেন?

জনপ্রিয় স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েব জার্নাল হেলথ বেনিফিট টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধে শিশুদের জন্য কলিজার উপকারিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হয়েছে। পুষ্টিবিদ ও শিশু বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে নিবন্ধে বলা হয়েছে-

⇒ কলিজা শিশুর মস্তিষ্কের উন্নয়ন ঘটায়। এই খাবারটি শিশু দেহের নার্ভ সিস্টেমকেও উন্নত করে। শিশু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে কলিজা।

⇒ কলিজায় থাকা ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ও ভিটামিন এ শিশুর চোখ ও ত্বকের উন্নতি সাধন করে। বিশেষ করে শিশুর চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে কলিজা।

⇒ কলিজায় রয়েছে প্রচুর আয়রন। এটি শিশুদের দেহে দ্রুত আয়রনের ঘাটতি পুরণে কাজ করে।

সতর্কতা:

চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, যাদের দেহে কোলেস্টরেলের মাত্রা বেশি বা স্থুল, তাদের কলিজা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ছাড়া যাদের হার্ট ডিজিজ বা অন্যান্য জটিল রোগ রয়েছে তাদের উচিত, যাবতীয় প্রাণীজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ বেনিফিট টাইমস।

২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:১১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।