• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাড় ভালো রাখবে পাঁচ খাবার

হাড় ভালো রাখবে পাঁচ খাবার

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের হাড়ের সমস্যাও বাড়ে। হাড় ক্ষয়, হাড় দুর্বল ও অল্প আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দেহে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত না থাকলে মূলত হাড়ের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। পুষ্টিবিদ ও খাদ্যগবেষকরা বলছেন, শরীরের ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করতে এবং হাড়ের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কিছু বিশেষ খাবার বেশ কার্যকরি। খাবারগুলোর মধ্যে মাশরুম, সোয়া মিল্ক ও ডিমের কুসুম অন্যতম।

জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবজার্নাল হেলথ লাইন, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ একাধিক আন্তর্জাতিক জার্নালে ভিটামিন ডি-এর উৎস সম্পর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। প্রিয় পাঠক, আমরা এই নিবন্ধে এমন কিছু খাবারের পুষ্টিগুণ তুলে ধরব, যেগুলো ভিটামিন ডি-এর উত্তম উৎস।

ভিটামিন ডি-এর অভাবে যা হয়

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বর্তমানে বহু মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে। এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে হাড়ে সমস্যা হয়। কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রধান পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদারের বরাতে একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, বয়স্কদের মাঝে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি আগে দেখা গেলেও বর্তমানে অল্প বয়সীরাও এই ভিটামিনের স্বল্পতায় ভুগছেন। এর অন্যতম কারণ, সূর্যের আলো থেকে শিশুরা ছোট বেলা থেকেই দূরে থাকছে।

ডা. মীনাক্ষীর বরাতে আরও বলা হয়েছে, সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। ভিটামিন ডি শরীরে বাড়াতে চাইলে আপনাকে রোদে দাঁড়াতেই হবে। সকালে উঠে কিছুটা সময়, অন্তত ২০ মিনিট দাঁড়ান রোদে। তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

ভিটামিন ডি বাড়াবেন যে খাবারে

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও কিছু খাবারে থাকে ভিটামিন ডি। খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে মাশরুম, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল ও সোয়া মিল্ক।

মাশরুম : পুষ্টিবিদরা বলছেন, মাশরুম ভিটামিন ডি এর দারুণ এক উৎস। এটি প্রাকৃতিক খাবার। এখন বাণিজ্যিকভাবেও মাশরুম চাষ হচ্ছে। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল। মাশরুমে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে প্রায় ২৩০০ আইইউ ভিটামিন ডি থাকে।

সোয়া মিল্ক : সোয়া মিল্ক খেতে দারুণ। এই খাবারে সবচেয়ে বেশি রয়েছে প্রোটিন। তাই, এই খাবার মানব দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণেও ব্যাপক কার্যকরি। নিয়মিত সোয়া মিল্ক খেলে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি কমে। এছাড়া টোফু খাওয়া যেতে পারে। তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

চিংড়ি মাছ : সব মাছেই ভিটামিন ডি আছে। তবে চিংড়ি মাছে যেন ভিটামিন ডি একটু বেশিই। চিংড়ি মাছ হল দারুণ এক খাদ্য। এই খাদ্যটির মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে প্রোটিন। শরীরে ভিটামিন ডি এর যোগান ঠিক রাখতে চিংড়ি রাখুন খাদ্যতালিকায়।

ডিমের কুসুম : ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর ও দ্রুত শক্তিবর্ধক একটি খাবার। ডিম খেলে দেহে দ্রুত তার প্রভাব বোঝা যায়। এই খাবারটি সকলের জন্যই দারুণ উপকারি। ডিম খেলে বহু সমস্যার সমাধান পেতে পারেন সহজেই। এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম খাওয়া বাদ দিবেন না। কারণ, কুসুমে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন।

দানাশস্য : ভাত, ডাল, ওটস, ডালিয়া, আটার মতো খাবারেও রয়েছে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপাদান। কারণ, এসব শস্য জাতীয় খাবারেও রয়েছে ভিটামিন ডি। তাই, এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দূর হবে।

পরামর্শ

ডিম, ডিমের কুসুম, ভাত ও ডাল অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। তবে এই খাবারগুলো সবাই ইচ্ছেমত খেতে পারেন না। যাদের হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কিংবা ডায়াবেটিস ও কিডনী রোগে আক্রান্ত, তারা এসব খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, মেডিকেল নিউজ টুডে।

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:২৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।