• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাঁটবেন তো সুস্থ ভাবে বাঁচবেন

হাঁটবেন তো সুস্থ ভাবে বাঁচবেন

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

সুস্থ জীবনের জন্য হাঁটার বিকল্প নেই। তবে হাঁটলেই যে আপনি সুস্থ থাকবেন এমনটিও নয়। হাঁটতে হলেও আপনাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হাঁটতে হবে। সুস্থ জীবনধারার অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অভ্যাস হিসেবে হাঁটা শিখুন। অবসর সময় ঘরে বসে আরাম না করে বাইরে বের হয়ে হাঁটুন। জীবন সুস্থ ও সুন্দর হবে। গবেষকরা বলছেন, একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে দিনে অন্তত একটানা ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন হাঁটুন।

প্রিয় পাঠক, হাঁটার কারণে আমাদের দেহে যে বিশেষ পরিবর্তন হয়, সেগুলো দেখে নেয়া যাক।

বিবিসির স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঁটার ফলে পেশী সুগঠিত হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে ও মেরামত হয়। এই অভ্যাস হজমশক্তি উন্নত করে। পাশাপাশি হাঁটার অভ্যাস মস্তিষ্ক সতেজ রেখে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

হাঁটার অভ্যাসের কারণে মানুষের চিন্তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, মেজাজ বা মুড ভালো রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতেও সহায়তা করে।

হাঁটার বিশেষ উপকারিতা

মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে: আপনি যত নিষ্ক্রিয় থাকবেন, আরামে শুয়ে বসে জীবনযাপন করবেন, আপনার দেহের পেশীর শক্তি তত কমে যাবে। তাই, সময় পেলেই হাঁটুন। আমরা যখন হাঁটাহাটি করি তখন পেশীতে তৈরি হওয়া মলিকিউল বা অণু আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো রাখে: হৃৎপিণ্ড ভালো থাকার জন্য হাঁটার বিকল্প নেই। জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব জার্নাল হেলথ লাইনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, হাঁটার কারণে রক্তচাপ সাময়িক বাড়লেও হাঁটার শেষে রক্ত চলাচল ভালো হয়। হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে।

হজমশক্তি উন্নত করে: মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রের জন্য হাঁটার অভ্যাস দারুণ কার্যকরী। যারা নিয়মিত হাঁটেন, তাদের হজমশক্তি অন্যদের থেকে বেশি।

মানসিক সক্ষমতা বাড়ায়: হাঁটলে আমাদের মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। ফলে অনেক সমস্যা সমাধান করাও সহজ হয়। যারা হতাশা ও মানসিক স্থবিরতায় ভুগছেন, তারা নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস করুন। মানসিক সমস্যার দূর হবে।

বিষণ্নতা দূর করে: স্নায়ুবিজ্ঞানী শেন ও'মারা’র বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, বিষণ্নতার সঙ্গে শুয়ে-বসে জীবনযাপন করার ব্যাপক সম্পর্কে রয়েছে। আরাম আয়েশে জীবনযাপন করলে দেহের কোষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। যা বিষণ্নতার অন্যতম কারণ।

কর্মমূখী করে তোলে: একটি গবেষণা তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, সকাল বেলা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুললে সারাদিন ঝরঝরে লাগে। সকালের হাঁটাহাঁটি মানুষের কর্মস্পৃহা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় সারাদিনের কর্মব্যস্ততাও সহজ হয়ে যায়।

শারীরিক গঠন উন্নত করে: যারা সারাদিন চেয়ারে বসে কাজ করেন অথবা সোফায় বসে সময় কাটান, তাদের শারীরিক গঠন দুর্বল। কিন্তু যারা হাঁটাহাঁটি করেন নিয়মিত, তাদের শারীরিক গঠন হয় ‘সুঠাম’ ও শক্তিশালী। কারণ, গবেষকরা বলছেন মানুষের দেহ এমনভাবে তৈরি নয়, যা সারাদিন একটি অবস্থানে থাকতে পারে।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন ও বিবিসি।

০৮ আগস্ট ২০২২, ০৬:১৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।