• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সামুদ্রিক মাছে বাড়তি গুণাগুণ

সামুদ্রিক মাছে বাড়তি গুণাগুণ

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

দেহের আমিষের চাহিদা পুরণে আমরা মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের ওপর বেশি নির্ভর করে থাকি। এ ছাড়া উদ্ভিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ডাল, মটরশুটি, শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচিতেও রয়েছে আমিষ। সুস্থ ও সুঠাম পেশীবহুল শরীর গঠনে আমিষের গুরুত্ব ব্যাপক। মিঠাপানির মাছ আমরা বেশি খেয়ে থাকি। দামে সস্তা ও সহজলোভ্য হওয়ায় মিঠাপানির মাছের চাহিদা বেশি।

তবে দেশের উপকূলবর্তী এলাকাসহ শহরের বাজারগুলোতে সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। সামুদ্রিক মাছ আমিষের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে বেশি পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মিঠাপানির মাছে কম পাওয়া যায়।

প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে নিই সামুদ্রিক মাছের উপকারি গুণাগুণ ও প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য।

সামুদ্রিক মাছ কোনগুলো

আমাদের দেশে সাধারণ ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, বাইলা, চিংড়ি, ফোঁপা, লইট্টা ও লাইখ্যা মাছ বেশি পাওয়া যায়। এই মাছগুলো সামুদ্রিক মাছ। তবে আরও অন্যান্য জাতের মাছ পাওয়া গেলেও তার পরিমাণ খুবই অল্প।

কেন খাবেন সামুদ্রিক মাছ

জনপ্রিয় মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েব জার্নাল হেলথ লাইন ও সি ফিস-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পৃথক নিবন্ধে বলা হয়েছে, গবেষকরা বলছেন, সামুদ্রিক মাছ হার্ট-এটাক, স্ট্রোক এবং উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এই মাছ শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: সামুদ্রিক মাছ মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। কারণ, এসব মাছে রয়েছে জিংক ও আয়োডিন।

মস্তিক গঠন করে: নিউরোলজিস্টদের মতে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দূর হয়।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়: সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নত করে।

সহজে হজম হয়: সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে: বেশিরভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ এবং ডি থাকে। এই ভিটামিন দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলে, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হাড়জোড়ের ব্যথা নিরাময় করে: যারা রিউমাটয়েড আর্থারাইটিসে ভুগছেন, তারা রেগুলার সামুদ্রিক মাছ খেতে পারে। এতে আপনার রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন ও সি ফিস ডট ওআরজি।

৩১ জুলাই ২০২২, ০৮:৪১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।