• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

পৃথিবীর সুপেয় পানির আধার যে মহাদেশ

পৃথিবীর সুপেয় পানির আধার যে মহাদেশ

ছবি- সংগৃহিত

ফিচার ডেস্ক

পৃথিবীর দক্ষিণতম ও সবচেয়ে কম জনবহুল বিস্তীর্ণ একটি মহাদেশ এন্টার্কটিকা। চারিদিকে মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত এই এন্টার্কটিকায় মানুষের স্থায়ী বসবাস নেই। তবে অনেকেই সখের বসে বা অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করার জন্য এই মহাদেশে ভ্রমণ করে থাকেন।

এই মহাদেশটির নাম অ্যান্টার্কটিকা। এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। যা কিনা ইউরোপ মহাদেশের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ বড়। বছরের পুরোটা সময় জুড়ে বরফে আচ্ছাদিত থাকে অ্যান্টার্কটিকা। সাধারণত অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় অ্যান্টার্কটিকায় বেশি শীতল, শুষ্ক ও বায়ুপ্রবাহ বিদ্যমান।

বরফের মহাদেশ বললেও এন্টার্কটিকাকে ভুল বলা হবে না। পৃথিবীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৮৯.২ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এই মহাদেশে। যা এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার হিসেবে রেকর্ড।

জীববৈচিত্র

এন্টার্কটিকায় রয়েছে নানা প্রজাতির প্রাণী। এর মধ্যে অন্যতম মাইট, সুতাকৃমি, পেঙ্গুইন, সামুদ্রিক সীল ও টারডিগ্রেড। এই মহাদেশে আপনি বালু, মাটি ও লতাপাতা, গাছ দেখতে পাবেন না। এখানে কেবলই মস ও লাইকেন নামক উদ্ভিদ দেখা যায়।

ইতিহাস থেকে এন্টার্কটিকা

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮২০ সালের দিকে ফাবিয়ান গটলিব ফন বেলিংসহাউসেন ও মিখাইল লাজারেফের নেতৃত্বে একটি রুশ অভিযানের সময়ে অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তূপ প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। পরবর্তীতে ফরাসি, মার্কিন ও ব্রিটিশ অভিযানের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকার আরও অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছিল।

১৮৯৫ সালে প্রথম এক নরওয়ের একটি দল এন্টার্কটিকায় অবতরণ করে। বর্তমানে অ্যান্টার্কটিকা প্রায় ৩০টি দেশ দ্বারা শাসিত, যার সবকটিই ১৯৫৯-এর অ্যান্টার্কটিক চুক্তি ব্যবস্থার অংশীদারি।

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের নামটি ফরাসি শব্দ। আনুমানিক ৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল তাঁর মেতেওরোলজিকা গ্রন্থে আন্তার্ক্তিকোস্ অঞ্চল সম্পর্কে আলোচনা করেন। এছাড়া গ্রিক ভূগোলবিদ মারিনোস তাঁর খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর বিশ্ব মানচিত্রে এই নাম ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা যায়।

অ্যান্টার্কটিকার প্রায় ৯৮ ভাগ অঞ্চল পৃথিবীর বৃহত্তম হিম আচ্ছাদন দ্বারা আবৃত। যাকে অ্যান্টার্কটিক হিম আচ্ছাদন বলা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এন্টার্কটিকার এই বিশাল হিম আচ্ছাদনই পৃথিবীর সুপেয় পানির বৃহত্তম উৎস।

১০ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।