• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাটিক্যান মালদ্বীপ নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশের গল্প

ভ্যাটিক্যান মালদ্বীপ নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশের গল্প

ফিচার ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ কোনটি? আপনি হয়তো ভাবছেন ভ্যাটিক্যান সিটি। কিন্তু আপনি কি জানেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিক্যান কিংবা মালদ্বীপ নয়। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ। আটলান্টিকের বুকে ভেসে থাকা এই ইস্পাতের ভাসমান দেশের গল্প আপনার জন্য রোমাঞ্চকর হতে চলেছে।

যেভাবে এলো সিল্যান্ড?

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে স্টিলের এই অবকাঠামোটি ছিল ইংল্যান্ড নৌ বাহিনীর। তারা এখান থেকে সমুদ্রে যুদ্ধজাহাজগুলোর গতিবিধি নজরদারী করত। সমুদ্রের ভুগর্ভ থেকে স্টিলের দুটি পাইপের ওপর সিল্যান্ড দাঁড়িয়ে আছে। এই দেশটিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ স্বীকৃতি না দিলেও কেউ এর স্বাধীনতার বিরোধীতা করেনি।

এমনকি বৃটেনের ১০ কিলোমিটার দূরে তাদেরই পরিত্যক্ত নৌ দুর্গ কিভাবে একটি দেশ হিসেবে দাড়িয়েছে, তা নিয়েও বৃটেনের ভ্রুক্ষেপ নেই। সিল্যান্ডের বাসিন্দারা নিজেদের সার্বভৌমত্বের ঘোষণা দিলেও সেটিকে অন্যান্য স্বার্বভৌম দেশগুলো গুরুত্বই দেয়নি।

সিল্যান্ডের আরও কিছু তথ্য

৫৫০ বর্গমিটার আয়তনের স্টিলের কাঠামোটিই একটি দেশ। এই দেশে কোনো মাটি নেই। তবে আপনি এখানে বেড়াতে যেতে চাইলে আপনাকে ভিসা নিতে হবে। আর এই ভিসা নিতে হবে ইংল্যান্ডের লন্ডন থেকে।

ভিসার জন্য নির্ধারিত ফরম পুরন করেই কেবল আপনি সিল্যান্ডে যেতে পারবেন। আপনি কি ভাবছেন, এটি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য করা হয়েছে? কখনোই এমনটি ভাববেন না।

সিল্যান্ডের রয়েছে নিজস্ব মুদ্রা। যার নাম সিল্যান্ড ডলার। তবে সেই মুদ্রা বিশে^র কোনো দেশেই আপনি চালাতে পারবেন না। তিন জন নাগরিক সিল্যান্ডের। যার মধ্যে একজন রাজা, একজন রাণী ও অন্যজন প্রিন্স। দেশটি মূলত বেটস পরিবারের সদস্য। ১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর বৃটিশ নাগরিক মেজর প্যাজ রয় বেটস ও তার পরিবার এই স্থাপনায় চলে আসেন। এবং তারা এটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন।

চমকপ্রদ তথ্য

সিল্যান্ড নিয়ে আপনি কতটা উত্তেজিত? আপনি হয়তো এখনই সিল্যান্ডে যেতে চাইছেন। যেখানে আপনি সমুদ্রের ঢেউ আর পানি ছাড়া কিছুই দেখতে পাবেন না। এটি এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

যে ভাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হল সিল্যান্ড

বিভিন্ন স্মারক মুদ্রা, ডাক টিকিট ও অফশোর ইন্টারনেট হোস্টিং সুবিধা প্রতিষ্ঠা বা "ডেটা হ্যাভেন" সহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক কাজে সিল্যান্ডের নাম রয়েছে। মূলত ২০০০ সালে, হ্যাভেনকো নামে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পরই সিল্যান্ড সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী প্রচার শুরু হয়।

০৫ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।