ওজন কমায় গেঁটে বাত দূর করে যে সবজি
প্রতিকী ছবি
ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর এক সবজির নাম ‘শসা’। এটি গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও সারাবছরই শসা বাজারে পাওয়া যায়। সালাদ হিসেবে শসার জুড়ি মেলা ভার। ওজন কমাতে ব্যাপক কার্যকরী এই সবজি। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তবে কাঁচা শসার স্বাদ অসাধারণ। শিশুদের জন্যও শসা খুবই উপকারী। গবেষকরা বলছেন, শসায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, ফসফরাস, পটাসিয়াম ও সিলিকনের মতো খনিজ উপাদান।
শসা খেলে যে উপকার
ভিটামিনের ঘাটতি পুরণ হয়: ভিটামিনের ঘাটতি পুরণে শসা দারুণ। এতে থাকা ভিটামিন এ, বি ও সি এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
ত্বকের যত্নে অনন্য শসা: গবেষকরা বলছেন, ত্বকের উজ্জ্বলতা ও প্রাণোবন্ত ত্বকের জন্য শসার বিকল্প খুব কমই রয়েছে। এতে থাকা জলীয় অংশ, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন ত্বকের বলিরেখা ও ব্রণ, মেছতা দূর করে।
দেহ শীতল রাখে: শরীরের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ তাপ শোষণে বিশেষ ভাবে কাজ করে শসা। এটি দেহের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করে।
রক্তের বর্জ্য দূর করে: শসায় থাকা জলীয় অংশ রক্তে জমা হওয়া বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে। কিডনিতে জমে থাকা পাথর দূর করতেও সহায়তা করে শসা।
হজমশক্তি বাড়ায়: এতে থাকা ফাইবার, পানি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
ওজন কমায়: অতিরিক্ত ওজন ও মেদ ভুড়ি কমাতে শসা দারুণ কার্যকরী। সালাদ ও স্যুপ হিসেবে শসা খেলে দ্রুত ওজন কমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে: মল শক্ত হওয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান রয়েছে শসায়। এটি মল নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
চুল ও নখের যত্ন: শসায় থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং সিলিকা চুল ও নখের স্বাস্থ্য উন্নত করে। যা গবেষণায় প্রমাণিত।
পানিশূন্যতা পূরণ করে: দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিলে শসা খান। এই সবজি খেলে তৃষ্ণা নিবারণের পাশাপাশি পানিশূন্যতা পূরণ হয়।
গেঁটেবাত দূর করে: শসায় থাকা সিলিকা নামক উপাদান দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। এই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে গেঁটে বাত হয়।
তথ্যসূত্র- হেলথ লাইন।