‘ডিম’: শিশুর জন্য সুপার ফুড
প্রতিকী ছবি
আমিষের উৎস হিসেবে ডিম অনন্য। সেদ্ধ ডিম, ভাজি ডিম, ডিমের পিঠাসহ বিরিয়ানি, ফুচকাতে ডিম ব্যবহার হয়। গবেষকরা বলছেন, দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করতে ডিমের বিকল্প খাবার নেই। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের ডিম খাওয়ার ব্যাপারে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। কুসুম ছাড়া ডিম অথবা সপ্তাহে তিন/চারটি ডিম খেতে পারেন। শিশুর মানসিক ও দৈহিক বিকাশে ডিমের জুড়ি মেলা ভার।
গবেষকরা বলছেন, ডিম ভিটামিন বি-১২, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি-সহ আয়রন, জিংক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর একটি খাদ্য।
শিশুকে কেন ডিম দেবেন
পেশী গঠন করে: শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে। এই সময়ে পুষ্টিকর খাবার জরুরি। শিশু দেহের পেশী গঠনে প্রোটিন ও ম্যাগনেসিয়াম খুবই প্রয়োজনীয়। আর এই দুটি উপাদানই রয়েছে ডিমে।
শিশুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: এখন অনেক শিশুর চোখের সমস্যা দেখা যায়। শিশুর দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়ান। ডিমে থাকা ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ডিমে থাকা আয়রন, জিংক ও ফসফরাস শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিশুরা দুরন্তপনা ও খেলাধুলায় বেশি সময় কাটায়। শিশুর এই দুরন্তপনা মোটেই খারাপ নয়। আর তাই, শিশুকে ডিম খাওয়ালে তাদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
হাড় ও দাঁত ভালো হয়: শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠন উন্নত করতে হলে নিয়মিত ডিম খাওয়াতে হবে। ডিমে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো শিশুর হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখে: গবেষকরা বলছেন, ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন রয়েছে। এই উপাদানটি শিশুর দেহের কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম, স্নায়ু, যকৃত ও মস্তিষ্ক গঠনে সহায়ক।
তথ্যসূত্র: গুড প্যারেন্টিং।