• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুষ্টির সেরা শাকের রাজা

পুষ্টির সেরা শাকের রাজা

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

বই পুস্তকে বলা আছে রাতকানা রোগ সারায় কচুশাক। বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও এটি প্রমাণিত। ভিটামিন এ এবং আয়রনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়। রাতকানা রোগে ভুগছেন, এমন ব্যক্তিদের জন্য কচুশাক প্রাকৃতিক এক ওষুধ। পুষ্টিগুণ ও দুর্দান্ত স্বাদের কারনে কচুশাকের বাড়তি কদর রয়েছে। এতে রয়েছে নানা ধরণের প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন। গবেষকরা বলছেন, কচুশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।

কচুশাক খেলে যে উপকার পাবেন

— অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দূর করতে কচুশাক দারুণ কার্যকরী। এতে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।

— এই শাকে রয়েছে স্যাপোনিনস, টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্লাভোনয়েডের মতো খনিজ উপাদান। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

— কচুশাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান হাড়ের সুরক্ষায় দারুণ উপকারী। হাড় গঠন ও হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে কাজ করে কচুশাক।

— কচুশাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষকের দাবি, নিয়মিত কচুশাক খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

— গবেষকরা বলছেন, এতে থাকা ভিটামিন এ এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান দৃষ্টিশক্তি ঠিক উন্নত করে। বিশেষ করে রাতকানা রোগ নিরাময়ে কচুশাকের বিকল্প নেই।

— শরীরে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট কমাতে কচুশাক খুবই কার্যকরী। আর এ কারনেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

— এই শাকে রয়েছে প্রচুর ফাইবার বা খাদ্যআঁশ। যা মানবদেহের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হয়।

— কচুশাকে থাকা আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ চুল পড়া রোধ করে। এই শাক নতুন চল গজাতেও সহায়তা করে।

 

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন।

১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।