• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাইফয়েড: কী কেন প্রতিকার

টাইফয়েড: কী কেন প্রতিকার

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নানান রোগ ছড়ায়। জ্বর-সর্দি-কাশি ও চর্মরোগের পাশাপাশি টাইফয়েড আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনে যেসব রোগ ছড়ায় তার মধ্যে টাইফয়েড মারাত্মক। এটি মূলত পানিবাহিত রোগ। সালমনেলা টাইফি ও প্যারাটাইফি জীবাণু থেকে টাইফয়েড রোগ ছড়ায়।

কিভাবে বুঝবেন টাইফয়েড

এই রোগে আক্রান্ত হলে কিছু লক্ষণ রোগীর দেহে প্রকাশ পায়। এর মধ্যে রয়েছে- প্রচণ্ড মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেটব্যথা, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা ১০৩-১০৪ ফারেনহাইট, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, চামড়ায় লালচে দানা। এগুলো টাইফয়েডের প্রাথমিক লক্ষণ।

চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর এটি চিহ্নিত করা যায়। এর আগে টাইফয়েড আক্রান্ত কিনা, তা বুঝা জটিল। টাইফয়েডের কারণে জ্বর হলে তা দুই তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

কেন হয় টাইফয়েড

টাইফয়েডের অন্যতম কারণ হলো দূষিত খাবার গ্রহণ ও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা। তবে পানির মাধ্যমে টাইফয়েড সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। এই রোগটি এতই জটিল প্রকৃতির যে, এতে আক্রান্ত হলে রক্তক্ষরণ, অগ্নাশয়ে প্রদাহ, মেরুদণ্ডে সংক্রমণ এমনকি কিডনিতেও সমস্যা দেখা দেয়।

টাইফয়েডের চিকিৎসা কী?

→ যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কোর্স সম্পন্ন করার মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করা যায়। গুরুতর অবস্থা না হলে, বাড়িতে রেখেও রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব।

→ এই ভাইরাসজনিত রোগ থেকে বাঁচতে রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি পান করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

→ টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রোগীকে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। কাঁচা ফল ও সবজি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

→ তবে গবেষকরা বলছেন, টাইফয়েডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হলো টিকা গ্রহণ। নিকটস্থ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা টিকাদান কেন্দ্র থেকে টাইফয়েডের টিকা কোর্স সম্পন্ন করা নিরাপদ।

 

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে।

১১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।