ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া হৃদরোগ নিরাময় করে যে পাতা
প্রতিকী ছবি
নিম অনন্য ঔষধিগুণে ভরা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এর ফল, পাতা, বাঁকল কিংবা শিকড়, সবই উপকারি। প্রবাদ আছে- ‘ঘরের দক্ষিণে থাকলে নিমগাছ, বদ্যি লাগে না বারো মাস’। নিমের মেসওয়াক, নিম পাতার গুঁড়া এবং নিমের তেল ভেষজ চিকিৎসায় বহুল প্রচলিত। এই উপাদানটির কার্যকারিতা ও সফলতা বিবেচনায় নিয়ে নিম গাছকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নিমের যত উপকারিতা
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: নিমপাতার রস দেহে রক্তচলাচল সাভাবিক রাখে। ফলে হৃৎপিণ্ডের গতি ঠিক থাকে। এতে করে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু রোধ করে: গবেষকরা বলছেন, নিমপাতার রস জ¦র সদি কাশির মতো সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। নিমপাতায় থাকা গ্যাডোনিন নামক উপাদান ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোধ করে।
পেটের কৃমি দূর করে: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, নিমগাছের ছাল গুঁড়ো করে সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে শিশুকে কয়েকবার খাওয়ারে কৃমির উপদ্রব কমে।
ত্বক ভালো রাখে: নিমপাতা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ইনফেকশন ও দাগ দূর করতে নিমপাতা বেটে মুখে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
চর্মরোগ সারায়: নিম পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে চর্মরোগ দূর হয়। নিমপাতার গুঁড়া সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলকানির জায়গায় লাগালে দ্রুত উপকার মেলে।
ওজন কমায়: দেহের মেদ চর্বি ঝরিয়ে ওজন কমাতে চাইলে নিমফুলের জুস খান। এটি শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে দেয়। এ ছাড়া নিম ফুল হজমক্রিয়া উন্নত করে।
দাঁতের সুরক্ষা দেয়: প্রাচীনকাল থেকে দাঁতের মাজন হিসেবে নিমের ডাল ও নিমের গুঁড়া ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি দাঁত ও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: রক্তের সুগার দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করে নিমপাতার রস। গবেষকরা বলছেন, নিয়মিত কচি নিমপাতার রস খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
খুশকি তাড়ায়: মাথার ত্বকে ইনফেকশনের কারণে খুশকি ও চুল পড়া রোগ হয়। নিমপাতার রস পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মিশিয়ে গোসলের আগে মাথায় লাগালে খুশকি পালাবে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই প্যাকটি মাথায় লাগাতে পারেন।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন।