• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

কফি খান শরীরের শক্তি বাড়ান

কফি খান শরীরের শক্তি বাড়ান

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

নাস্তা কিংবা বিকালের আড্ডায়, কফি হলে আর কি লাগে। কেউ কেউ তো কফি ছাড়া কর্মময় দিন ভাবতেই পারেন না। সকালের নাস্তায় ভরা গ্লাস কফি পানের অভ্যাস অনেকের। কফি দারুণ একটি শক্তিবর্ধক উপাদান। এটি মূলত দানা জাতীয়। তবে কফি গুঁড়া করে তা বাজারে আসে। এই গুঁড়ো কফিই আমরা পানীয় হিসেবে পান করি। শরীর-মন চাঙ্গা রাখতে কফির জুড়ি মেলা ভার।

গবেষকরা বলছেন, কফিতে থাকা ক্যাফেইন পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে। ভালো মানের কফি খাওয়ার পর জৈবিক শক্তি বেড়ে যায়। এটি নারী-পুরুষ উভয়ই খেতে পারে। তবে সুস্থতার জন্য অতি মাত্রায় কফি পান করা উচিত নয়। দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি স্বাস্থ্যসম্মত।

কফির যত গুণ

শারীরিক শক্তি বাড়ায়: দেহের ক্লান্তি দূর করে কফিতে থাকা ক্যাফেইন। দ্রুত দৈহিক শক্তি ফেরাতে কফি পান করা কার্যকরী। এ ছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ওজন কমায়: কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক এসিড, যা ওজন কমাতে সহায়ক। এই উপদানটি শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়া শক্তিশালী করে।

স্নায়ুবিক দুর্বলতা কাটায়: কফিতে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন ডি স্নায়ুবিক দুর্বলতা দূর করে। স্নায়ুজনিত মাথা ব্যথা, মাথা ঘুরানো ও দুর্বলতায় কফি খুব দ্রুত কাজ করে।

শরীরের বর্জ্য দূর করে: রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান দূর করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর কফিতে সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত থাকে। বিশেষ করে কফিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্লোরোজেনিক এসিড রক্তের বর্জ্য দেহ থেকে বের করে দেয়।

জৈবিক শক্তি বাড়ায়: এটি গবেষণায় প্রমাণিত যে, কফি মানুষের জৈবিক চাহিদা চাঙ্গা রাখে। বিশেষ করে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বুস্ট করে কফি। এ ক্ষেত্রে কফির সঙ্গে দারচিনি, নারকেলের দুধ, বাদাম ও দুধ মিশালে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।

সতর্কতা:

গবেষকরা বলছেন, কফিতে ক্যাফেইন থাকে। যা অতিমাত্রায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই, নিয়ম করে কফি খাওয়া উচিত। দিনে ৭০/৮০ গ্রামের কফি খাওয়া ঝুঁকিপুর্ণ। সুস্থতার জন্য দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করা ভালো। সেক্ষেত্রে কফিতে চিনির ব্যবহার কমানো জরুরি।

 

তথ্যসূত্র- হেলথ লাইন।

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৪পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।