• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যে ১১ অভ্যাস আপনাকে অসম্মানিত করবে

যে ১১ অভ্যাস আপনাকে অসম্মানিত করবে

ফিচার ডেস্ক

প্রত্যেকের উচিত নিজের কর্মের দায় নিজের ওপর নেয়া। নিজের কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করা ও জবাবদিহিতা করার মানসিকতা আপনাকে অনেক উচ্চতায় পৌছে দেবে। আপনি ভুল করতেই পারেন, কিন্তু শ্রদ্ধা বজায় রেখে ভুল স্বীকার করার মাঝেই আপনার পরিপক্কব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। এ ছাড়া আপনার সম্মানবোধ, বিশ^স্ততা অর্জন ও সততার ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য মানুষের কিছু খারাপ অভ্যাস ও গুণের কারণে অবাঞ্ছিত হয়। ক্ষতির শিকার হয়।

মানুষ ও ব্যক্তিত্ববান হওয়ার জন্য আপনাকে একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে। আর এই অর্জনের জন্য আপনাকে কিছু গুণাবলী নিজের মাঝে লালন করা উচিত। এই গুণ গুলো বর্জন করলে একজন মানুষ নিন্দা পায়, আবার এই গুণগুলো অর্জন করলে একই মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়। গুণ গুলোর মধ্যে রয়েছে-

অসততা: আপনার সমস্ত লেনদেনে সততা অবলম্বন করুন। সকল কাজে সততা অবলম্বন করা কঠিন হলেও এই গুণটি আপনাকে দিন শেষে সম্মানিত করবে। এতে মানুষ আপনাকে বিশ^াস করতে শুরু করবে।

অবিশ্বস্ততা: কাউকে দেয়া কথা বা প্রতিশ্রুতি পূরণে সজাগ থাকুন। কথার হেরফের করার অভ্যাস ছাড়ুন। মানুষ মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠবে এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। কিন্তু সেটি হয় না অনেক ক্ষেত্রে। তাই, মানুষের বিশ্বাস এবং সম্মান ধরে রাখুন।

অন্যদের বাধা দেওয়া: অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনার অভ্যাস অত্যন্ত প্রশংসিত। এই অভ্যাসের মাধ্যমে মূলত আপনি, অন্যের মতামত ও বক্তব্যকে সম্মান করলেন।

নেতিবাচকতা এবং অবিরাম অভিযোগ: সব কাজে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতিতেও। ইতিবাচক ও গঠনমূলক মনোভাব সম্মান বৃদ্ধি করতে পারে।

বিচারমূলক হওয়া: অন্যের ব্যাপারে মানসিকতাকে উন্মুক্ত করুন। কারও কর্ম সব সময় বিচারের আওতায় নিবেন না। প্রত্যেকের কর্ম ও চিন্তাকে মূল্যায়ণ করুন। দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করুন।

সময়কে অসম্মান করা: সময়ানুবর্তি হওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যের সময়কে মূল্য দিন। সময়ের কাজ সময়ে করুন এবং অন্যের সময় দেয়াকে সম্মান করুন।

খোশগল্প: অন্যের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। প্রয়োজনীয় কথাবার্তার বাইরে খোশগল্প এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত কথা বলা বা বাচালতা ত্রুটিপূর্ণ সময় তৈরি করে কেবল।

অহংকারী বা অতিরিক্ত গর্বিত হওয়া: সবসময় সবক্ষেত্রে নম্রতা প্রদর্শন করুন। সমালোচনাকে সদয়ভাবে গ্রহণ করুন। সেই সাথে অন্যের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়ার অভ্যাস করুন।

অন্যের অনুভূতি উপেক্ষা করবেন না: প্রত্যেকের আবেগ অনুভূতিকে সম্মান করুন। প্রতিটি মানুষের অনুভূতি আছে, সেটি বোঝার চেষ্টা করুন। সম্মান করুন।

কারসাজি বা অন্যকে ব্যবহার করা: অন্যদেরকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা বাদ দিন। সবাইকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিন। পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে প্রকৃত সম্পর্ক বজায় রাখুন।

নিজ কর্মের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করুন: নিজের কর্মের ব্যাপারে তার দায় নিজের কাধে রাখুন। নিজের কর্মের জবাবদিহিতার মানসিকতা রাখুন। ভুল হলে স্বীকার করুন, শুধরে নিন।

০৪ জুন ২০২৩, ০৫:১৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।