• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে যে আশঙ্কার কথা জানালেন বলিউড নায়ক!

‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে যে আশঙ্কার কথা জানালেন বলিউড নায়ক!

ফাইল ছবি

বিনোদন ডেস্ক

‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড। মুক্তির মাত্র ৯ দিনে সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ১৫০ কোটি রুপি! মাত্র ১৪ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত একটির এমন সাফল্যে চোখ কপালে উঠতেই পারে।

তবে সিনেমাটি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। বিতর্কিত ইতিহাস ও ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিনেমাটি তৈরি হয়েছে বলেও দাবি বলিউডের একাধিক অভিনেতা ও পরিচালকদের।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বলিউড তারকা ও নির্মাতারা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাকে রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ হিসেবেই মনে করছেন। কেউ কেউ সরাসরি সিনেমাটির বিরোধিতায় নেমেছেন।

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সিনেমাটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন বলিউডের দাপুটে অভিনেতা নানা পাটেকর। তিনি বলেছেন, ‘এই সিনেমার মাধ্যমে ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।’

ভারতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেতা বলেন, ‘হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই এই ভারতের বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তি, সৌহার্দ-সম্প্রীতিতে বসবাস করে। কারণ তাদের একে-অন্যকে প্রয়োজন। পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারবেনও না তারা। কিন্তু কোনো এক সিনেমার জন্য এই দুইয়ের মধ্যে বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ঠিক নয়।’

নানা পাটেকর বলেছেন, ‘দেখতে হবে সবাই যেন শান্তিতে থাকেন। এমন সিনেমা বানিয়ে যারা এই শান্তি ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাদের কাছে জবাব চাওয়া উচিত। তাদের বুঝিয়ে দেওয়া উচিত, এমন করলে সমাজটাই টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’সিনেমাটি নিয়ে ভারতের রাজনীতির মাঠও উত্তপ্ত। বিজেপিশাসিত চার রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও হরিয়ানায় সিনেমাটি করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দেখতে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে পুলিশ সদস্যদের ছুটিও দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সিনেমাটি দেখতে নিষেধ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে সিনেমায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।

এ ছাড়া ভারতের ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘নির্মাতারা সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে গিয়ে মুসলিম-শিখদের বলিদানকে অস্বীকার করেছে। তারা সত্যকে লুকিয়েছে।’

২১ মার্চ ২০২২, ০৬:৫১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।