• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ফিচার ডেস্ক

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশের একজন স্মরণীয় বাঙালি ও বাংলাদেশি ব্যক্তিত্ব, বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক ও দার্শনিক ছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম যুক্তি-তর্ক দিয়ে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বিবেচিত করার যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম জাগরণ এবং বাঙালির চেতনা বিকাশের অগ্রদূত হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

১৮৮৫, ১০ জুলাই: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত চব্বিশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯০৪: হাওড়া জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এন্ট্রান্স পাশের সময় থেকেই মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বিভিন্ন ভাষার প্রতি অতি উৎসাহী ও আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং একাধিক ভাষা শিক্ষা শুরু করেন।

১৯০৬: কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ (বর্তমান এইচএসসি’র সমমান) পাশ করেন।

১৯১০: কলকাতা সিটি কলেজ থেকে সংস্কৃতে সম্মান-সহ বি.এ পাশ করেন।

১৯০৮ - ১৯০৯: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ যশোর জেলা স্কুলের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯১২: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। এম.এ পাশ করার পরই তিনি বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির সম্পাদক হন।

১৯১৪-১৯১৫: সীতাকুণ্ড হাইস্কুলে কিছুদিন প্রধান শিক্ষকের (১৯১৪-১৯১৫) দায়িত্ব পালন করেন।

১৯১৫ - ১৯১৯: পর্যন্ত চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে আইন ব্যবসা করেন।

১৯১৯ - ১৯২১: পর্যন্ত ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকর্মী হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করেন।

১৯২১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

১৯২৮: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্যারিসের সর্বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করার পূর্বেই কিছুকাল তিনি যশোর জেলা স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

১৯৩৭: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিডার হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৪৪: অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন।

১৯৪৮: তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন।

১৯৫৩ - ১৯৫৫: তিনি পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ফরাসি ভাষার খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন।

১৯৫৫: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও পালি বিভাগে যোগদান করে ১৯৫৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৬৩: বাংলা একাডেমি কর্তৃক গঠিত বাংলা একাডেমির পঞ্জিকার তারিখ বিন্যাস কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বে বাংলা পঞ্জিকা একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত রূপ পায়।

১৯৬৭: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমেরিটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন। একই বছর ফ্রান্স সরকার তাকে সম্মানজনক পদক নাইট অফ দি অর্ডারস অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স দেয়। ঢাকা সংস্কৃত পরিষদ তাকে ‘বিদ্যাবাচস্পতি’ উপাধিতে ভূষিত করে।

১৯৫৮: পাকিস্তান আমলে তাকে 'প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পদক' ও মরণোত্তর 'হিলাল ই ইমতিয়াজ খেতাব' প্রদান করা হয়।

১৯৫৯, ১৩ই জুলাই: বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক ও দার্শনিক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মারা যান।

১৯৮০: মরণোত্তর বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মরণোত্তর ‘ডি. লিট’ উপাধি দেয়।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, যুগান্তর

 

এবি/এসজে

 

 

 

 

০৭ আগস্ট ২০২১, ০৪:২০পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।