• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজা রামমোহন রায়

রাজা রামমোহন রায়

ফিচার ডেস্ক

রাজা রামমোহন রায় হিন্দুধর্মের সংস্কারক। তিনি জন্মেছিলেন এক সম্ভ্রান্ত রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে। কিন্তু পরে হিন্দু ধর্মীয় প্রথা এবং সামাজিক ব্যবস্থায় সংস্কার সাধনই হয়ে ওঠে তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন হিন্দু সমাজের সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য।

১৭৭২, ২২মে: হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন এক সম্ভ্রান্ত ও ব্রাহ্মণ পরিবারে। পনেরো-ষোলো বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে নানা স্থানে ঘোরেন। কাশীতে ও পাটনায় কিছুকাল ছিলেন এবং নেপালে গিয়েছিলেন।

১৭৯৬: রামমোহন অর্থোপার্জন শুরু করেন। তরুণ বয়সে তিনি কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন।

১৮০৩ - ১৮১৪: পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। কলকাতায় প্রায়ই আসতেন এবং কোম্পানির নবাগত অসামরিক কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের নানা বিষয়ে সাহায্য করেন।

১৮১৫: রামমোহন কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হন। শুরু হয় সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই। হিন্দু ধর্মকে সংস্কার করতে তিনি আজীবন লড়াই করেছেন।

১৮১৫ - ১৮১৯: এসময়ের মধ্যে প্রকাশিত হয় বেদান্তগ্রন্থ, বেদান্তসার, কেনোপনিষদ, ঈশোপনিষদ, কঠোপনিষদ, মাণ্ডূক্যোপনিষদ ও মুণ্ডকোপনিষদ। রক্ষণশীল ব্যক্তিরা ক্রুদ্ধ হয়ে তার লেখার প্রতিবাদ দেখাতে লাগলেন।

১৮২১: রামমোহন রায় ছিলেন ভারতে সংবাদপত্রের একজন প্রতিষ্ঠাতাও। তিনি ব্রাহ্মনিকাল ম্যাগাজিন নামে তাঁর প্রথম দ্বিভাষিক পত্রিকা প্রকাশ করেন।

১৮২৮: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় রামমোহন রায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮২৮: তিনি সতীদাহ অশাস্ত্রীয় এবং নীতিবিগর্হিত প্রমাণ করে বই লিখলেন 'প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ'। এই বছরেই ডিসেম্বর মাসে আইন করে সহমরণ-রীতি নিষিদ্ধ করা হয়।

১৮৩০: মোঘল সম্রাট ২য় আকবর তার দাবি ব্রিটিশ সরকারের কাছে পেশ করার জন্য রামমোহনকে বিলেত পাঠান, তিনি রামমোহনকে রাজা উপাধি দেন।

১৮৩২: রাজা রামমোহন ফ্রান্সও সফর করেন।

১৮৩৩, ২৭ সেপ্টেম্বর: মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিস্টলের কাছে স্টেপল্‌টনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

 

তথ্যসুত্র: উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া

 

এবি/এসজে

 

 

০৫ আগস্ট ২০২১, ০২:৫৮পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।