• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

স্যার ফজলে হাসান আবেদ

স্যার ফজলে হাসান আবেদ

ফিচার ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, দারিদ্র বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখায় স্যার ফজলে অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতিতে ভূষিত হয়েছেন।

১৯৩৬, ২৭ এপ্রিল: হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৫৪ অক্টোবর: তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়তে ভর্তি হয়েছিলেন।

১৯৫৬: গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় কোর্স অসমাপ্ত রেখেই লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টসে ভর্তি হন।

১৯৬২: অ্যাকাউন্টিং-এর ওপর চার বছরের প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন।

১৯৯৪: কানাডার কুইনস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টর অব ল' ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০৩: যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টর অব এডুকেশন' ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৭০: চট্টগ্রামে শেল অয়েল কোম্পানির হেড অব ফাইন্যান্স হিসেবে যোগ দেন।

১৯৭০, নভেম্বর: বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এ সময় তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ‘হেলপ’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত মনপুরা দ্বীপের অধিবাসীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। সেখানে তাঁরা ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের লক্ষ্যে অ্যাকশন বাংলাদেশ এবং হেলপ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭২, ১৭ জানুয়ারি: বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।

১৯৭২: ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সবহারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কল্পে 'Bangladesh Rehabilitation Assistance Committee' বা সংক্ষেপে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭২ - ২০০১: তিনি ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

১৯৮০: র‌্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন।

২০০১ - ২০১৯: ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

২০০২: দ্য শোয়াব ফাউন্ডেশন সোশ্যাল আন্ট্রপ্রেনিওরশিপ প্রতিষ্ঠান থেকে ‘আউটস্ট্যান্ডিং সোশ্যাল আন্ট্রপ্রেনিওর’ স্বীকৃতি লাভ করেন।

২০০৪: গেটস অ্যাওয়ার্ড ফর গ্লোবাল হেলথ ও ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন বিষয়ক পুরস্কার মাহবুবুল হক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

২০০৭: হেনরি আর. ক্রাভিস প্রাইজ ইন লিডারশিপ এবং ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। একই বছর দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কর্তৃক আজীবন সম্মাননা লাভ করেন।

২০১৪ ও ২০১৭: ফরচুন ম্যাগাজিনের "বিশ্বের ৫০ সেরা নেতার তালিকা"য় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০১৬ - ২০১৯: প্রভাব, উদ্ভাবনশীলতা, টেকসই সমাধান এই তিনটি বৈশিষ্ট্যের নিরিখে জেনেভা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা এনজিও অ্যাডভাইজার টানা চার বছর ব্র্যাককে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিও হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

২০১৯: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে কয়েক দশকব্যাপী অনবদ্য ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ নেদারল্যান্ডসের নাইটহুড ‘অফিসার ইন দ্য অর্ডার অব অরেঞ্জ-নাসাউ’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। ওই বছরেই শিক্ষা উন্নয়ন বিষয়ে অত্যন্ত মর্যাদাসূচক এবং অর্থমূল্যের দিক থেকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ইদান প্রাইজ লাভ করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। হংকংভিত্তিক ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার ঘোষণা করে।

২০১৯: আগস্ট মাসে ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাক বাংলাদেশ ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপারসন পদ থেকে অব্যহতি নেন এবং চেয়ার এমেরিটাস পদ গ্রহণ করেন।

২০১৯: নভেম্বরে শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতাজনিত কারণে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন।

২০১৯, ২০ ডিসেম্বর: ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত অবস্থায় রাত ৮ টা ২৮ মিনিটে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, প্রথম আলো, ব্র্যাক

 

এবি/এসজে

২৮ জুলাই ২০২১, ১১:২০এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।