হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদ
হুমায়ূন আহমেদ একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন তিনি। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর সৃষ্টি হিমু, মিছির আলী, বাকের ভাই চরিত্রগুলো পেয়েছে অমরত্ব ৷ তাঁর লেখা গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে৷
১৯৪৮,১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন আহমেদ। তার ডাক নাম ছিল কাজল।
১৯৫৫: সিলেটের কিশোরী মোহন পাঠশালায় (বর্তমান কিশোরী মোহন (বালক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় ।
১৯৬৫: বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
১৯৭২: হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয়। যা পাঠকমহলে প্রশংসিত হয়।
১৯৭৩: ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন হুমায়ুন আহমেদ। এ সময় তিনি তার প্রথম ছোটগল্প রচনা করেন। সৌরভ নামক গল্পটি বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
১৯৭৩: গুলতেকিন খান কে বিয়ে করেন। একই বছর লেখক শিবির পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৭৪: তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে যোগদান করেন।
১৯৮০: আশির দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য ধারাবাহিক এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রচনা শুরু করেন হুমায়ূন আহমেদ ৷
১৯৮১: বাংলা উপন্যাসে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮৩: তার প্রথম টিভি কাহিনীচিত্র ‘প্রথম প্রহর’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার শুরু হলে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৮৭: ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিজুলিয়া গ্রামে ২২ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত বাগান বাড়ি নুহাশ পল্লী গড়ে তুলেন। বাড়িটির নামকরণ করা হয় স্ত্রী গুলতেকিন ও তার প্রথম পুত্র নুহাশ হুমায়ূনের নামে। বর্তমানে এর আয়তন আরও বৃদ্ধি করে ৪০ বিঘা করা হয়েছে।
১৯৮৮-৮৯ : হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক বহুব্রীহি প্রচারিত হয়। যার প্রতিটি পর্ব ছিল বিষয়ভিত্তিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
১৯৯০: তার রচিত আরেকটি অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক কোথাও কেউ নেই প্রচারিত হয়। এই ধারাবাহিকের বাকের ভাই চরিত্রটি তুমুল দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৯০: মে মাসে অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় ময়ূরাক্ষী উপন্যাস। এতে তার সৃষ্ট হিমু চরিত্রটি পাঠকদের, বিশেষ করে তরুণ সাহিত্যপ্রেমীদের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৯৪: একুশে পদক লাভ করেন হুমায়ূন আহমেদ।
২০০৩: গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয় এবং ঐ বছরই শাওনকে বিয়ে করেন।
২০১১: সেপ্টেম্বের মাসে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার সময় তার দেহে মলাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১২, ১৯ জুলাই: কৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে রাখার পর তিনি নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্য: উইকিপিডিয়া, ডয়েচে ভেল
এবি/এসজে