• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পার্চায জয়নুল আবেদিন

শিল্পার্চায জয়নুল আবেদিন

ফিচার ডেস্ক

জয়নুল আবেদিন, বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী। পূর্ববঙ্গের প্রথম প্রজন্মের শিল্পীদের পুরোধা ব্যক্তিত্ব জয়নুল আবেদিন। তার বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, মই দেয়া, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী ইত্যাদি।

১৯১৪,২৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়াতে জন্মগ্রহণ করেন জয়নুল আবেদিন।

১৯২২, শেরপুরের রামবঙ্গিনী এম-ই স্কুলে জয়নুলের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার সূচনা হয়।

১৯৩৩, মাধ্যমিক (ম্যাট্রিক) পরীক্ষার আগেই স্কুলের পড়ালেখা বাদ দিয়ে কলকাতায় চলে যান এবং গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস-এ ভর্তি হন।

১৯৩৮, কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর চিত্র প্রদর্শনীতে তিনি নিখিল ভারত স্বর্ণপদক লাভ করেন।

১৯৪৩, দুর্ভিক্ষের ছবির জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন জয়নুল আবেদিন।

১৯৪৬, তিনি জাহানারা বেগমকে বিয়ে করেন।

১৯৪৮ , জয়নুল আবেদিনের উদ্যোগে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি জীর্ণ কক্ষে গভর্নমেন্ট আর্ট ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয়। প্রথমে এর ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র ১৮।

১৯৫৮, তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সবচেয়ে বড় খেতাব হেলাল-ই-ইমতিয়াজ অর্জন করেন।

১৯৬৩, এটি একটি প্রথম শ্রেণির সরকারি কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং এর নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়। পরে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়’।

১৯৬৮, ঢাকা আর্ট কলেজের ছাত্রদের তরফ থেকে ‘শিল্পার্চায’ উপাধি পান।

১৯৭০, গ্রামবাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন তার বিখ্যাত ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি নবান্ন।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান লাভ করেন।

১৯৭৫-এ জয়নুল আবেদিনের আগ্রহে ও পরিকল্পনায় সরকার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর ও ময়মনসিংহে জয়নুল সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা করে।

১৯৭৬, ২৮ মে মৃত্যুবরণ করেন এই চিত্রশিল্পী। চারুকলা ইনস্টিটিউটে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

 

তথ্য: উইকিপিডিয়া

এবি/এসজে

২৬ জুলাই ২০২১, ১১:১৬এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।