সরোজিনী নাইডু
সরোজিনী নাইডু একজন কবি ও রাজনীতিবিদ। ভারতীয় কোকিল বা দ্য নাইটেঙ্গেল অফ ইন্ডিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। সরোজিনী নায়ডু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম (ভারতীয়) মহিলা সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বাধীন ভারতে তিনি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের রাজ্যপালও হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় যোদ্ধা।
১৮৭৯, ১৩ই ফেব্রুয়ারি: সরোজিনী নাইডু ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৯১: তিনি মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। তিনি সমগ্র মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
১৮৯৪: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বন্ধ রেখে, নানা বিষয় অধ্যয়ন করেন।
১৮৯৫: তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান। সেখানে প্রথমে কিংস কলেজ এবং পরে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গির্টন কলেজে অধ্যয়ন করেন।
১৮৯৮: ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর হায়দ্রাবাদের ড. মতিয়ালা গোবিন্দরাজলু নাইডুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
১৯০৫: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরোজিনী যোগ দেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। এই সূত্রে তৎকালীন সকল রাজনৈতিক নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। এই বছরে তাঁর প্রকাশিত The Golden Threshold, সাধারণ মানুষের কাছে ‘বুলবুলে হিন্দ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন
১৯০৮: হায়দ্রাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে কায়সার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক প্রদান করে।
১৯১৫: তিনি অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দেন। এই সময় থেকে তিনি নারী মুক্তি, শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও জাতীয়তাবাদের সমর্থনে তাঁর বার্তা প্রচার করা শুরু করেন।
১৯১৯: গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলে, সরোজিনী এই আন্দোলনে যোগদান করেন। এই বছরেই তিনি অল ইন্ডিয়া হোম রুল ডেপুটেশনের সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ডে যান।
১৯২০ জুলাই: তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং ১লা আগষ্ট গান্ধীজির পক্ষে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
১৯২৪ জানুয়ারি: পূর্ব আফ্রিকান ভারতীয় কংগ্রেসে, ভারতীয় কংগ্রেসের দলীয় প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।
১৯২৫: তিনি কানপুরে অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯২৬: অল ইন্ডিয়া উইমেন কনফারেন্স গঠিত হলে সরোজিনী এর সভাপতি নির্বাচিত হন এবং নারী শিক্ষা অধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
১৯২৮ অক্টোবর: সরোজিনী গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনের বার্তা নিয়ে আমেরিকা যান।
১৯৩০, ২৬শে জানুয়ারি: জাতীয় কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। এই কারণে গান্ধিজিকে ৫ই মে গ্রেফতার করা হয়। এর কিছুদিন পর একই কারণে সরোজিনী নাইডুকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৩১, ৩১শে জানুয়ারি: কারাগার থেকে মুক্তি মুক্তি পান। ছাড়া পাওয়ার পর কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি গান্ধীজির সঙ্গে লণ্ডনে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। কিন্তু ওই বছরে আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়।
১৯৪২, ২রা অক্টোবর: ভারত ছাড় আন্দোলনে জড়িত থাকার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৪৭ মার্চ: এশিয়ান রিলেশন্স কনফারেন্সে স্টিয়ারিং কমিটিতে তিনি সভাপতিত্ব করেন। সরোজিনী তাঁর বাগ্মিতার জন্য খ্যতিমান ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর সরোজিনী নাইডু ভারতের উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং আমৃত্যু এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৯, ২রা মার্চ: এলাহাবাদে তাঁর মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, http://onushilon.org/corita/sorojini-naidu.htm
এবি/এসজে