• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শচীন দেববর্মণ

শচীন দেববর্মণ

ফিচার ডেস্ক

শচীন দেববর্মণ বা এস ডি বর্মণ বিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় বাংলা ও হিন্দী গানের কিংবদন্তীতুল্য ও জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক , সুরকার , গায়ক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী। অনেকেই হয়তো জানা নেই যে এসডি বর্মন বাংলাদেশেরই সন্তান। ত্রিপুরার বিখ্যাত চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজবংশে তাঁর জন্ম।

১৯০৬, ১ অক্টোবর: বাংলাদেশের কুমিল্লায় তার জন্ম। তবে আদিবাস বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে৷

১৯২০: কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন।

১৯২২: ঐ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বিএ ক্লাসে ভর্তি হন।

১৯২৩: আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে তিনি প্রথম গান করেন।

১৯২৫: কুমিল্লা থেকে শচীন দেব কলকাতা চলে আসেন।

১৯২৫ - ১৯৩০: তিনি সঙ্গীতাচার্য কৃষ্ণচন্দ্র দের কাছে সঙ্গীতচর্চা করেন।

১৯২৪: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ তে ভর্তি হন।

১৯৩২: তার প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড বের হয় হিন্দুস্তান মিউজিক্যাল প্রোডাক্টস থেকে। তার প্রথম রেকর্ডকৃত দুটি গান হল পল্লীগীতির ঢঙে গাওয়া "ডাকিলে কোকিল রোজ বিহানে" এবং "এ পথে আজ এসো প্রিয়"।

১৯৩০: তিনি রেডিওতে পল্লীগীতি গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পূর্ব বাংলা এবং উত্তর-পূর্ব বাংলার পল্লীগীতির উপর তার বিশেষ ঝোঁক ছিল।

১৯৩৪: অল ইন্ডিয়ান মিউজিক কনফারেন্সে তিনি গান গেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

১৯৩৫: বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্সে ঠুমরি পেশ করে ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁকে মুগ্ধ করেছিলেন।

১৯৩৫: ‘নিশিথে যাইয়ো ফুলবনে’গানটি রেকর্ড করলেন।

১৯৩৭: মীরা ধরকে বিয়ে করেন। বাংলা গানের জগতে মীরা ধর তথা মীরা দেববর্মণ অন্যতম সার্থক গীতিকার।

১৯৩৭: রাজগী নামক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার সঙ্গীত পরিচালনা জীবনের শুরু।

১৯৪৪: স্থায়ীভাবে মুম্বাইয়ে বসবাস করতে শুরু করেন।

১৯৬৯: শচীন দেবকে দেয়া হয় ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতার পদ্মশ্রী।

১৯৭০: শক্তি সামন্তের আরাধনা ছবির সফল হোগি তেরি আরাধনা গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক পুরস্কার পান শচীন দেব।

১৯৭৫, ৩১ অক্টোবর: একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, https://roar.media/bangla/main/biography/life-of-sachin-dev-burman

এবি/এসজে

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৩৪পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।