• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গোলাম মোস্তফা

গোলাম মোস্তফা

ফিচার ডেস্ক

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গোলাম মোস্তফা এক স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। আধুনিক বাংলাসাহিত্যে ইসলামী ভাবধারার সাহিত্য রচনায় রয়েছে তার বিশেষ কৃতিত্ব। বাঙালি মুসলমানের জাতীয় জাগরণ তার সাহিত্যেকর্মের মূল উদ্দেশ্য। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো: হাসনাহেনা, সাহারা, বুলবুলিস্তান, রুপের নেশা, ভাঙ্গাবুক, রুপের নেশা ইত্যাদি।

১৮৯৭: যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমার শৈলকূপা থানার অন্তর্গত মনোহরপুর গ্রামে গোলাম মোস্তফার জন্ম।

১৯১৩: ‘সাপ্তাহিক মোহাম্মাদী’তে ‘আন্দ্রিয়ানোপল উদ্ধার’ শিরোনামের কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্য জগতে প্রবেশ।

১৯১৪: শৈলকূপা উচ্চ ইংরেজি স্কুল থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে তিনি প্রবেশিকা বা ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

১৯১৬: তিনি দৌলতপুর বি. এল কলেজ থেকে আই. এ পাশ করেন।

১৯১৮: কলকাতা রিপন কলেজ থেকে বি. এ পাশ করেন। পরে ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ থেকে বি. টি ডিগ্রীও লাভ করেন।

১৯২০ জানুয়ারী: ব্যারাকপুর সরকারি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে গোলাম মোস্তফার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয়।

১৯২৪: ব্যারাকপুর হাই স্কুল থেকে তিনি কলকাতা হেয়ার স্কুলে বদলী হন। দীর্ঘদিন এখানে শিক্ষকতা করার পর তিনি কলকাতা মাদ্রাসায় বদলী হন।

১৯৩৫: বালিগঞ্জ সরকারি ডিমনেষ্ট্রেশন হাই স্কুলে বদলী হয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে উন্নীত হন এবং কয়েক বছর পর উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা লাভ করেন।

১৯৪০: তিনি বাঁকুড়া জিলা স্কুলে বদলী হন।

১৯৪৬: তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর শিক্ষকতা করার পর ১৯৫০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৪৯: গঠিত পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেন।

১৯৫২: সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি যশোর সংঘ কর্তৃক ‘কাব্য সুধাকর’ পুরষ্কার লাভ করেন।

১৯৬০: পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’উপাধি লাভ করেন।

১৯৬৪, ১৩ অক্টোবর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া, ডিবিসি নিউজ

এবি/এসজে

 

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:২৪পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।