• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

কবি শামসুর রাহমান

কবি শামসুর রাহমান

ফিচার ডেস্ক

কবি শামসুর রাহমান, বাংলা কবিতায় যিনি সৃষ্টি করেছিলেন এক ভিন্ন জাতিসত্তার অভিধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতায়, স্বাধিকারে শামসুর রাহমান ছিলেন এক নিঃসঙ্গ শেরপা। তার কবিতার মধ্য দিয়ে যেন বাঙালি ও বাংলাদেশ তার আত্মাকে খুঁজে পায় বারবার।

১৯২৯, ২৩ অক্টোবর: পুরনো ঢাকার মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে কবি শামসুর রাহমানের জন্ম ।

১৯৪৫: পুরনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

১৯৪৭: ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন।

১৯৪৯: তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা মুদ্রিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায়।

১৯৫৩: পাস কোর্সে বিএ পাশ করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এমএ (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।

১৯৫৫, ৮ই জুলাই: শামসুর রাহমান জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন।

১৯৫৭: দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৫৮: স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে সমকাল পত্রিকায় 'হাতির শুঁড়' নামক কবিতা লেখেন।

১৯৫৭ - ১৯৫৯: পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন।

১৯৬০: 'প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে' কাব্যগ্রন্থ দিয়ে সূচনা প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের।

১৯৬০ - ১৯৬৪: তিনি আবার ফিরে আসেন দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ। সেখানে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৪ - ১৯৭৭ দৈনিক পাকিস্তান এর সহকারী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৭, ২২ জুন: পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী রেডিও পাকিস্তানে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার নিষিদ্ধ করলে শামসুর রাহমান পেশাগত অনিশ্চয়তার তোয়াক্কা না করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।

১৯৬৯, ২০ জানুয়ারি: একটি মিছিলের সামনে একটি লাঠিতে শহীদ আসাদের রক্তাক্ত শার্ট দিয়ে বানানো পতাকা দেখে তিনি 'আসাদের শার্ট' কবিতাটি লিখেন।

১৯৭০, ২৮ নভেম্বর: ঘূর্ণিদুর্গত দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় ও মৃত্যুতে কাতর কবি লেখেন 'আসুন আমরা আজ ও একজন জেলে' নামক কবিতা।

১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে চলে যান নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে।

১৯৭৭, ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি একইসাথে দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯৮৭, সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এরপর তিনি অধুনা নামের একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৭ - ১৯৯১, তিনি 'শৃঙ্খল মুক্তির কবিতা', 'স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কবিতা', 'সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা' এবং 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতা' লেখেন।

১৯৯১, এরশাদের পতনের পর লেখেন 'গণতন্ত্রের পক্ষে কবিতা'।

২০০৬, ১৭ই আগস্ট: সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৫ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, দ্য ডেইলী ষ্টার


এবি/এসজে

 

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:০১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।