অতুলপ্রসাদ সেন
অতুলপ্রসাদ সেন একজন কবি, গীতিকার, গায়ক। তিনি একজন বিশিষ্ট সঙ্গীতবিদও ছিলেন। তার রচিত গানগুলির মূল উপজীব্য বিষয় ছিল দেশপ্রেম, ভক্তি ও প্রেম। অতুলপ্রসাদের গানের সংখ্যা প্রায় ২০০। তার গানের সংকলন ‘কয়েকটি গান’ ও ‘গীতিপঞ্জ’।
১৮৭১, ২০ অক্টোবর: অতুলপ্রসাদ সেন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল ফরিদপুরের দক্ষিণ বিক্রমপুরের মগর গ্রামে।
১৮৯০: প্রবেশিকা পাসের পর কিছুদিন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়ন করেন।
১৮৯২: ব্যারিস্টারী ডিগ্রী লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে আইন পড়তে অতুলপ্রসাদ লণ্ডনে গমন করেন।
১৮৯৪: আইন পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি বাংলায় ফিরে আসেন এবং রংপুর ও কলকাতায় অনুশীলন শুরু করেন।
১৯০০: স্কটল্যান্ডে গিয়ে মামাতো বোন হেমকুসুমকে বিয়ে করেন অতুলপ্রসাদ।
১৯০১: তাদের যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। যার মধ্য একজনের অকাল মৃত্যু হয়।
১৯০২: আরেক সন্তান দিলীপকুমারকে নিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় তারা কলকাতায় ফিরে এলেন, তখন প্রকাশ্যে একজন আত্মীয়ও পাশে দাঁড়ায়নি।
১৯০২ - ১৯৩৪: অতুল প্রসাদ আইন ব্যবসা উপলক্ষে লক্ষ্ণৌতে অতিবাহিত করেন। তার বাংলোতে প্রায় প্রতি সন্ধায়ই গানের আসর বসতো। বাংলা সাহিত্যে অতুল প্রসাদই প্রথম ঠুংরির চাল সংযোজন করেন।
১৯১৬: লক্ষ্ণৌয়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেস অধিবেশনে স্বেচ্ছাসেবকদের অধিনায়ক হিসেবে তিনি যে দেশাত্মবোধক গানটি রচনা করেন, তাতে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের সুর আছে।
১৯২২-২৩: কলকাতা থেকে প্রথম অতুলপ্রসাদের গানের রেকর্ড বের হয় সাহানা দেবী ও হরেন চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে।
১৯৩০: অতুলপ্রসাদের মামাতো বোন সাহানা দেবীর সম্পাদনায় ৭১টি গান স্বরলিপিসহ কাকলি নামে দু খন্ডে প্রকাশিত হয়।
১৯৩৪, ২৬ আগস্ট: ব্রিটিশ ভারতের লক্ষ্ণৌতে বসবাসকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, https://www.anandabazar.com/patrika/some-unknown-stories-about-bengali-composer-lyricist-and-singer-atul-prasad-sen-1.761233
এবি/এসজে