• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদুল্লা কায়সার

শহীদুল্লা কায়সার

ফিচার ডেস্ক

শহীদুল্লা কায়সার, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক। তার প্রধান উপন্যাস সারেং বউ -এ মানুষ ও তার অস্তিত্বের সংগ্রামের কথা বর্ণিত হয়েছে। সংশপ্তক, কৃষ্ণচূড়া মেঘ, তিমির বলয়, দিগন্তে ফুলের আগুন, সমুদ্র ও তৃষ্ণা, চন্দ্রভানের কন্যা, কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত) তাঁর অন্যান্য উপন্যাস। সারেং বৌ-এর কাহিনী অবলম্বনে উন্নত মানের একটি চলচ্চিত্র এবং সংশপ্তক অবলম্বনে একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল নির্মিত হয়েছে।

১৯২৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি: ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মাজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

১৯৪২: কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে৷

১৯৪৬: তিনি এখান থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কিন্তু শেষ করেননি৷

১৯৪৭: দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক ধারার সকল আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন।

১৯৪৭: ভারত বিভাগের পর তার বাবা ঢাকায় চলে আসেন এবং শহীদুল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। তবে এ ডিগ্রি লাভ করার আগেই লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটান।

১৯৪৭: তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

১৯৪৯: ঢাকার সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকায় শহীদুল্লার সাংবাদিক জীবন শুরু হয়।

১৯৫১: তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৫২: ভাষা আন্দোলন-এ তিনি অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করেন এবং ৩জুন গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করেন।

১৯৫৫: কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপরই পুনরায় গ্রেপ্তার হন।

১৯৫৮: তিনি সংবাদ পত্রিকায় সহযোগী সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

১৯৫৮, ১৪ অক্টোবর: সামরিক শাসক কর্তৃক তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় চার বছর কারাভোগের পর ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি লাভ করেন।

১৯৬২: শহীদুল্লা সাহিত্যকর্মের জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার পান। একই বছর তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৬৯, ১৭ ফেব্রুয়ারি: শহীদুল্লা কায়সার ব্যক্তিগত জীবনেপান্না কায়সারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৭১, ১৪ ডিসেম্বর: সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কজন সদস্য তাকে তার বাসা ২৯, বিকে গাঙ্গুলী লেন থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেন নি।

১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার বাসভবন থেকে তিনি অপহৃত হন এবং আর ফিরে আসেন নি।

১৯৮৩: সাংবাদিকতায় মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন।

১৯৯৮: সাহিত্যে (গল্পে অবদান রাখার জন‍্য) মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, https://roar.media/bangla/main/biography/history-of-napoleon-bonaparte

এবি/এসজে

 

 

 

১২ আগস্ট ২০২১, ০৪:০২পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।