• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী

ফিচার ডেস্ক

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী একজন অন্যতম ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। একজন প্রজ্ঞার অধিকারী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে গান্ধী ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতা এবং গরীব মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

১৮৬৯, ২ অক্টোবর মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী পোরবন্দরের হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৮৩ মাত্র ১৩ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী তার বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে বিয়ে করেন।

১৮৮৮, ৪ সেপ্টেম্বর ১৮ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে যান।

১৮৯৩, এপ্রিল আফ্রিকার উদ্দেশ্যে ভারত ছাড়েন। পরবর্তী ২১ বছর তার সেখানেই কাটে।

১৮৯৪ গান্ধী নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে সেখানকার ভারতীয়দেরকে রাজনৈতিকভাবে সংঘবদ্ধ করেন।

১৮৯৭, জানুয়ারিতে ভারতে এক সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ফিরে আসার পর একদল শ্বেতাঙ্গ মব তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। গান্ধী এই মব সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি। কারণ তার মতে, কারও ব্যক্তিগত ভুলের জন্য পুরো দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়াকে তিনি সমর্থন করেন না।

১৯০৬ সালে ট্রান্সভাল সরকার উপনিবেশের ভারতীয়দের নিবন্ধনে বাধ্য করানোর জন্য একটি আইন পাশ করে। ১১ই সেপ্টেম্বর জোহানেসবার্গে সংঘটিত এক গণ প্রতিরোধে গান্ধী সবাইকে এই আইন বর্জন করতে বলেন।

১৯১৫ সালের ৯ই জানুয়ারী গান্ধী ভারতে ফিরে আসেন। এইজন্য ওই দিনটিকে প্রবাসী ভারতীয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

১৯১৮ সালের গান্ধীর প্রথম অর্জন আসে চম্পারন বিক্ষোভ এবং খেদা সত্যাগ্রহের মাধ্যমে।

১৯২১ সালের ডিসেম্বরে মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নির্বাহী হন। তার নেতৃত্বে কংগ্রেস স্বরাজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন সংবিধান গ্রহণ করেন।

১৯২২, ১০ মার্চ গান্ধী গ্রেপ্তার হলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

১৯২২, ২৮ মার্চ শুরু হওয়া শাস্তির কেবল দুই বছরের মত ভোগ করতে হয়।

১৯২৪ ফেব্রুয়ারিতে এপেনডিসাইটিসের অপারেশনের পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়। গান্ধী ঐক্যবদ্ধ ব্যক্তিত্বের অভাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ভিতরে ফাটল ধরে যা দলটিকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেয়। এ সময় গান্ধী স্বরাজ পার্টি এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মাঝে বাধা দূর করার চেষ্টা করেন।

১৯২৮, ডিসেম্বরে গান্ধী কলকাতা কংগ্রেসে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ভারতকে ডোমিনিয়নের মর্যাদা দেবার দাবি জানান, অন্যথায় নতুন অহিংস নীতির পাশাপাশি পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্যের হুমকি দেন।

১৯২৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর লাহোরে ভারতীয় পতাকার উন্মোচন হয়।

১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারি লাহোরে মিলিত হয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দিনটিকে ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উৎযাপন করে। অন্যান্য প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান ও এই দিনটিকে উদ্‌যাপন করে। ঘোষণামতো গান্ধী লবণের উপর কর আরোপের বিরুদ্ধে নতুন সত্যাগ্রহ অভিযান শুরু করেন।

১৯৩০, ১২ই মার্চ - ৬ই এপ্রিল মার্চে এই উদ্দেশ্যে তিনি ডাণ্ডির উদ্দেশ্যে লবণ কুচকাওয়াজ আয়োজন করেন ও নিজের হাতে লবণ তৈরির জন্য পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটার হেঁটে এলাহাবাদ থেকে ডাণ্ডিতে পৌঁছান। ব্রিটিশরা এর প্রতিশোধ নিতে ৬০,০০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

১৯৩২, দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে সরকারি নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃম্শ্যদের জন্য আলাদা ইলেকটোরেট আয়োজন করে।

১৯৩২ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে তিনি ৬ দিনের অনশন পালন করেন এবং এতে সরকার বাধ্য হয়ে দলিত ক্রিকেটার ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক নেতা পালওয়াঙ্কার বালুর মধ্যস্থতায় আরও গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা প্রদান করে।

১৯৩৩,৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন।

১৯৩৪ সালের গ্রীষ্মে তাকে হত্যার জন্য তিনটি ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়।

১৯৪০ এর দশক আস্তে আস্তে মানুষের মনে ভীতি সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড রাগ তৈরি হয়। গান্ধীজী সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভকে কে সঠিক কাজে লাগানোর জন্য মনস্থির করেন।

১৯৪১ সালের মার্চ মাসে সরকার সকল গণ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের বিনিময় সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়। এছাড়াও গান্ধীকে গোল টেবিল বৈঠকের জন্য লন্ডনে আমন্ত্রণ জাননো হয। সেখানে তিনি একাই কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন।

১৯৪২ সালে তিনি বিস্তৃতভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি নতুন দিল্লীর বিরলা ভবন (বিরলা হাউস) মাঝে রাত্রিকালীন পথসভা করছিলেন।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, https://adisikha.com/mahatma-gandhi-biography-bengali/

এবি/এসজে

 

 

 

 

১২ আগস্ট ২০২১, ১০:১৭এএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।