• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুহাম্মদ আলী

মুহাম্মদ আলী

ফিচার ডেস্ক

মুহাম্মদ আলী একজন মার্কিন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন। সাধারণভাবে যাকে ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ক্রীড়াজীবনের শুরুর দিকে আলী রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ও বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

১৯৪, ১৭ জানুয়ারি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলাতে জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ আলী। তবে শুরুতে তার নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে।

১৯৫৪: ক্লে প্রথম অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় নামেন। তিনি ছয়বার কেন্টাকি গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, দুইবার জাতীয় গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, একবার অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ইউনিয়ন জাতীয় উপাধি পান।

১৯৬০: রোমে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে বক্সিং প্রতিযোগিতায় লাইট হেভিওয়েট বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেন। অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় ক্লে ১০০ বার জেতেন ও মাত্র পাঁচ বার পরাজিত হন।

১৯৬০, ২৯শে অক্টোবর: পেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় প্রথম বারের জন্য অংশ নেন ক্লে এবং টানি হানসাকারকে ছয় রাউন্ডে পরাজিত করেন।

১৯৬০ - ১৯৬৩: ক্লে ১৯-০ জয়ের রেকর্ড করেন যার মধ্যে ১৫টি জয় নকআউটের মাধ্যমে ঘটে।

১৯৬৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি: মিয়ামির রিং-এ সনি লিস্টনকে হারিয়ে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ান হন ক্যাসিয়াস ক্লে। সপ্তম রাউন্ডে আর লড়তেই রাজি হননি লিস্টন।

১৯৬৪: ওই ম্যাচের কিছুদিন পরেই তিনি ঘোষণা করে দেন যে, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, নাম নিয়েছেন মোহাম্মদ আলি। ওই বছর তিনি সৈনিক জীবনে প্রবেশের পরীক্ষায় তিনি অনুত্তীর্ন হন।

১৯৬৬: তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এসময় ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করেন তিনি। বলেন কোরআন যুদ্ধ সমর্থন করে না। আল্লাহ বা নবীর নির্দেশ ছাড়া তিনি যুদ্ধে যাবেন না।

১৯৬৭: যরা ফলির সাথে ম্যাচের মধ্যে তিনি ৯ বার শিরোপা রক্ষার লড়াইএ নামেন। খুব কম বক্সারই এত কম সময়ে এত বেশি বার লড়াই করেন। তার জীবনের একটি অন্যতম কঠিন লড়াই এ তিনি ১২ রাউন্ডে জয় লাভ করেন।

১৯৬৭: যুদ্ধে না যাওয়ার কারণে তিনি ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। তার সমস্ত পদক কেড়ে নেয়া হয়েছিল।

১৯৭০: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি লড়াই এ ফিরে আসতে সমর্থ হন।

১৯৭১, মার্চ: আলি জো ফ্রেজিয়ারের মুখোমুখি হন যা 'শতাব্দীর সেরা লড়াই' হিসাবে পরিচিত। বহুল আলোচিত এ লড়াই এ জো ফ্রেজিয়ার জয়লাভ করেন ও আলি প্রথমবারের মত পরাজিত হন।

১৯৭৪: ফিরতি লড়াইয়ে তিনি অবশ্য শিরোপা পুণরুদ্ধার করেন।

১৯৭৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি: একটি বিদেশি সংস্থা ৫ দিনের সফরে তাকে ঢাকায় এনেছিল। সেই সফরে বাংলাদেশ সরকার তাকে সম্মান সূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে।

১৯৮০: তিনি পারকিন্সন্স রোগে আক্রান্ত হন। তাকে যখন বলা হয় তিনি তার রোগের জন্য বক্সিংকে দায়ী করেন কিনা, তিনি বলেন বক্সিং না করলে এত বিখ্যাত হতেন না। অবসরের পরে তিনি তার জীবনকে মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। ব

২০১৬, ০৩ জুন: ৩২ বছর পারকিনসন্স রোগে ভোগার পর ৭৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

 

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, https://roar.media/bangla/main/sports/the-story-of-a-boxing-champion

এবি/এসজে

 

 

 

১০ আগস্ট ২০২১, ০৭:২১পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।