• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মাদার তেরেসা

মাদার তেরেসা

ফিচার ডেস্ক

মাদার তেরেসা একজন ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মপ্রচারক। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি গরীব, অসুস্থ, অনাথ, অসহায় ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা করেছেন। সেই সঙ্গে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিকাশ ও উন্নয়নেও নিবিড় পরিশ্রম করেছেন। প্রথমে ভারত ও পরে পুরো বিশ্বে তিনি তাঁর এই মিশনারি কার্যক্রম ছড়িয়ে দেন।

১৯১০, ২৬ আগস্ট: মেসিডোনিয়ার স্কোপিতে জন্ম নেন আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত মাদার তেরেসা। ১২ বছর বয়সেই তিনি ধর্মীয় জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন।

১৯২৮: ১৮ বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে একজন মিশনারি হিসেবে যোগ দেন সিস্টার্স অব লোরেটোতে। সেখানে শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। তাই তিনি ইংরেজি শিখতে আয়ারল্যান্ডের রথফার্নহ্যামে যান।

১৯২৯: ভারতে এসে দার্জিলিঙে নবদীক্ষিত হিসেবে কাজ শুরু করেন।

১৯৩১, ২৪ মে: তিনি সন্ন্যাসিনী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন। এই সময় তিনি টেরিজা নাম গ্রহণ করেন।

১৯৩৭, ১৪ মে: পূর্ব কলকাতায় একটি লোরেটো কনভেন্ট স্কুলে পড়ানোর সময় তিনি চূড়ান্ত শপথ গ্রহণ করেন।

১৯৪৮: দরিদ্রের মাঝে ধর্মপ্রচার কাজ শুরু করেন। প্রথাগত লোরেটো অভ্যাস ত্যাগ করেন। পোশাক হিসেবে পরিধান করেন নীল পারের একটি সাধারণ সাদা সুতির বস্ত্র। এ সময়ই ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করে বস্তি এলাকায় কাজ শুরু করেন।

১৯৫০, ৭ অক্টোবর: এরপর মাত্র ১২ জন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’। যার শাখা বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে আছে।

১৯৫২: এ চ্যারিটির অধীনেই গড়ে ওঠে ‘নির্মল হৃদয়’, কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ‘শান্তিনগর’।

১৯৫৫: নির্মল শিশু ভবন স্থাপন করেন। এই ভবন ছিল এতিম ও বসতিহীন শিশুদের জন্য এক ধরনের স্বর্গ।

১৯৬৩: গড়ে তোলা হয় ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’-এর ব্রাদার শাখা।

১৯৬৫: ভারতের বাইরে প্রথমবারের মতো ভেনিজুয়েলায় মিশনারি অব চ্যারিটির শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৭৯, ১৭ অক্টোবর: তিনি তার সেবাকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার।

১৯৮০: ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ লাভ করেন।

১৯৮২: বৈরুত অবরোধের চূড়ান্ত প্রতিকূল সময়ে মাদার তেরেসা যুদ্ধের একেবারে ফ্রন্ট লাইনের হাসপাতালে আটকে পড়া ৩৭ শিশুকে উদ্ধার করেন।

১৯৮৩: পোপ জন পল ২ এর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে রোম সফরের সময় মাদার তেরেসার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়।

১৯৮৯: দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার দেহে কৃত্রিম পেসমেকার স্থাপন করা হয়।

১৯৯১: তেরেসা প্রথমবারের মত মাতৃভূমি তথা আলবেনিয়াতে ফিরে আসেন। এদেশের তিরানা শহরে একটি "মিশনারিস অফ চ্যারিটি ব্রাদার্স হোম" স্থাপন করেন।

১৯৯১: মেক্সিকোতে থাকার সময় নিউমোনিয়া হওয়ায় হৃদরোগের আরও অবনতি ঘটে। এই পরিস্থিতিতে তিনি মিশনারিস অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু চ্যারিটির নানরা গোপন ভোটগ্রহণের পর তেরেসাকে প্রধান থাকার অনুরোধ করে।

১৯৯৬: এপ্রিলে পড়ে গিয়ে তার কলার বোন ভেঙে যায়। একই বছরের আগস্টে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন।

১৯৯৭, ১৩ মার্চ: মিশনারিস অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ থেকে সরে দাড়ান।

১৯৯৭, ৫ সেপ্টেম্বর: মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এ মহীয়সী নারী।

২০১৬: পোপ ফ্রান্সিস তাকে 'সন্ত' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং ক্যাথলিক গির্জায় তিনি 'কলকাতার সন্ত টেরিজা' হিসেবে আখ্যায়িত হন।

 

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, https://m.newsg24.com/feature-news/4494/find-out

এবি/এসজে

 

 

 

১০ আগস্ট ২০২১, ০৫:০০পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।