• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

হুমায়ূন ফরীদি

হুমায়ূন ফরীদি

ফিচার ডেস্ক

হুমায়ূন ফরীদি একজন অভিনেতা ও নাট্য সংগঠক। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। একাধারে আর্ট ফিল্ম এবং বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ফরীদি। টেলিভিশন নাট্যাভিনয়ের প্রথাগত ধ্যান ধারণা ভেঙ্গে সৃষ্টি করেন এক নতুন অভিনয় ধারা।

১৯৫২, ২৯ মে: হুমায়ূন ফরীদি ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬৫: পিতার চাকুরীর সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এ সময় মাদারীপুর থেকেই নাট্য জগতে প্রবেশ করেন।

১৯৬৮: মাধ্যমিক স্তর উত্তীর্ণের পর চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন।

১৯৭০: চাঁদপুর কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

১৯৭০: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন বিভাগে অনার্স কোর্সে ভর্তি হন, কিন্তু পরের বছর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন হুমায়ূন ফরীদি।

১৯৭৬: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। অধ্যায়নকালেই তিনি ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেন।

১৯৭৬: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবে তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মূলতঃ এ উৎসবের মাধ্যমেই তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন।

১৯৮০: ‘নিখোঁজ সংবাদ’-এর মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে অভিষেক হয় হুমায়ুন ফরীদির।

১৯৮২: বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘নীল নকশার সন্ধ্যায়’ ও ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’ নাটকে অভিনয় করে তিনি তাক লাগিয়ে দেন।

১৯৮৪: তানভীর মোকাম্মেলের হুলিয়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৮৫: পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে শেখ নিয়ামত আলীর দহন চলচ্চিত্র দিয়ে।

২০০৪: মাতৃত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

২০১২ , ১৩ ফেব্রুয়ারি: ঢাকার ধানমন্ডিতে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

২০১৮: বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা মরোণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

 

তথ্যসূত্র: বাংলাকিপিডিয়া, দৈনিক ইত্তেফাক

এবি/এসজে

 

 

০৯ আগস্ট ২০২১, ০৫:৫৯পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।