• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার

ফিচার ডেস্ক

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার একজন বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী। সূর্যসেনের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী দলের প্রথম মহিলা সদস্য। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে পরিচালিত সশস্ত্র সংগ্রামে প্রীতিলতাকে প্রথম আত্মোৎসর্গকারী নারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

১৯১১, ৫ই মে: প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রামের বর্তমান পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯১৮: ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রীতিলতার শিক্ষা জীবন শুরু। প্রতি ক্লাসে ভালো ফলাফলের জন্য তিনি সব শিক্ষকের খুব প্রিয় ছিলেন।

১৯২৮: তিনি কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়ে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। পরীক্ষার পর বন্ধের সময় তিনি নাটক লিখেন এবং মেয়েরা সবাই মিলে সে নাটক চৌকি দিয়ে তৈরী মঞ্চে পরিবেশন করেন।

১৯৩০: তিনি ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে আই.এ. পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সবার মধ্যে পঞ্চম স্থান লাভ করেন। এই ফলাফলের পর কলকাতার বেথুন কলেজ়ে বি এ পড়তে যান।

১৯৩০: সমগ্র বাংলা জুড়ে অনেক বিপ্লবী দল সংগ্রামরত ছিল। প্রীতিলতা সূর্যসেনের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী দলের প্রথম মহিলা সদস্য হন। তিনি টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিস ধ্বংস এবং রিজার্ভ পুলিশ লাইন দখল অভিযানে যুক্ত ছিলেন। তিনি জালালাবাদ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৩০: প্রীতিলতা কলকাতাস্থ আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাজবন্দি রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে যথাসময়ে তা পালন করেন।

১৯৩২: ডিস্টিংশন নিয়ে তিনি বিএ পাস করে চট্টগ্রামে ফিরে অপর্ণাচরণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার পদে চাকরি নেন।

১৯৩২, ১৯ জুন: পুলিশের জরুরি গ্রেপ্তারি তালিকায় প্রীতিলতার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। পুলিশ বাসায় গিয়ে প্রীতিলতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একই বছরের ২২ জুন এসআই শৈলেন্দ্র সেনগুপ্ত এর নেতৃত্বে একটি দল ওই বাড়িতে আরেক দফা তল্লাশি চালায়।

১৯৩২, ৩০ জুন: প্রীতিলতার বাসা থেকে পুলিশ তার গানের একটা বই নিয়ে যায়। মাস্টারদা প্রীতিলতাকে আত্মগোপনের নির্দেশ দেন। ৫ জুলাই মনিলাল দত্ত এবং বীরেশ্বর রায়ের সাথে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে প্রীতিলতা আত্মগোপন করে।

১৯৩২, ১৩ জুলাই: প্রীতিলতার আত্মগোপনের খবর আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

১৯৩২, সেপ্টেম্বর: মাস্টারদা আবার ইউরোপিয়ান ক্লাবে হামলা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই আক্রমণে নেতৃত্বের ভার পড়ে নারী বিপ্লবী প্রীতিলতার ওপর।

১৯৩২,২৩ সেপ্টেম্বর: রাত আনুমানিক ১০টা ৪৫ এর দিকে ক্লাব আক্রমণ শুরু হয়। প্রীতিলতা হুইসেল বাজিয়ে আক্রমণ শুরুর নির্দেশ দেয়ার পরেই ঘন ঘন গুলি আর বোমার আঘাতে পুরো ক্লাব কেঁপে কেঁপে উঠছিল।

১৯৩২, ২৩ সেপ্টেম্বর: একজন মিলিটারি অফিসারের রিভলভারের গুলিতে প্রীতিলতার বাঁ-পাশে গুলির আঘাত লাগে। আহত অবস্থায় প্রীতিলতার ধরা পড়ার আশংকা দেখা দেয়। তাই পূর্ব সিদ্বান্ত অনুযায়ী প্রীতিলতা পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

 

তথ্যসূত্র: বাংলাকিপিডিয়া, দ্য ডেইলি ষ্টার

এবি/এসজে

 

 

০৯ আগস্ট ২০২১, ০৫:০৭পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।