• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জান্তার ভয়ে মিয়ানমারে সন্তানদের ত্যাজ্য করছেন বাবা-মা

জান্তার ভয়ে মিয়ানমারে সন্তানদের ত্যাজ্য করছেন বাবা-মা

ছবি- সংগৃহিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জান্তা সরকারের ভয়ে মিয়ানমারে নিজের সন্তানদের ত্যাজ্য করে দিচ্ছেন দেশটির শত শত বাবা-মা। ‘যারা বিক্ষোভকারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের সবাইকে আটক করা হবে’- জান্তা সরকারের এমন ঘোষণার পর থেকেই ত্যাজ্য করার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

গত তিন মাস ধরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে সাতটি পরিবার তাদের ছেলে, মেয়ে, ভাতিজি-ভাতিজা, ভাগনি, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সম্পর্কছেদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। ত্যাজ্য সন্তানরা প্রকাশ্যেই জান্তা সরকারের শাসনের বিরোধিতা করে আসছে। আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন। আবার অনেকেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের জঙ্গলে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু সেনাশাসন মেনে নেয়নি দেশটির গণতন্ত্রপন্থী জনতা। শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে তারা। ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করতে সরকারবিরোধীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন ও ধরপাকড় চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

গত নভেম্বর মাসে জান্তা বিরোধীদের দমনে আরও কঠিন পদক্ষেপ নেয় দেশটির সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার। আন্দোলনে অংশ নেয়াদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অভিযান চালিয়ে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে জান্তা সরকার।

এমনকি বিমান হামলা ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে মিয়ানমারে। দেশটির সেনাদের এমন নারকীয় কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পেতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্রে প্রত্যেক দিনই সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছেন অভিভাবকরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকদের সম্পর্কছেদের অন্তত ৫৭০টি বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করেছে তারা। দেশটির সাবেক গাড়ি বিক্রয়কর্মী লিন লিন বো বো তাদের একজন এবং তিনিও সামরিক শাসনের বিরোধী সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন। গত নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দৈনিক দ্য মিররে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে লিন লিন বোর বাবা-মা বলেন, ‘আমরা লিন লিন বো

লিন লিন বলেন, চাপের কারণে পরিবার এটা করতে বাধ্য হয়েছে বলে আমার কমরেড আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু আমি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি। রয়টার্স লিনের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য জানাতে অস্বীকার করেছেন।

 

এবি/এসএন

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:০৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।