• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোটরসাইকেলে ভ্রমণের আগে যা করবেন

মোটরসাইকেলে ভ্রমণের আগে যা করবেন

প্রতিকী ছবি

ফিচার ডেস্ক

সাচ্ছন্দ্য ও সুবিধাজনক বাহনের তালিকায় শীর্ষে মোটরসাইকেল। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও মোটরসাইকেল সেবা বেড়েছে। মোটরসাইকেল দিয়ে দেশে বাণিজ্যিক সেবাও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা ঈর্ষা করার মতো। পরিবারের দুজন সদস্য মিলে দূরে কিংবা কাছে ভ্রমণের জন্য মোটরসাইকেল হতে পারে প্রথম পছন্দ। তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু সতর্কতাও মেনে চলা উচিত।

মোটরসাইকেলের প্রাথমিক ধারণা জেনে নিন

ভ্রমণের আগে বা বাণিজ্যিক সেবাদান শুরুর আগে আপনাকে মোটরসাইকেল চালনা ও প্রাথমিক মেকানিক্যাল কাজকর্ম শিখে নিতে হবে। এ ছাড়া-

♦ মোটরসাইকেল চালনা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করুন।
♦ প্রাথমিক মেকানিক্যাল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন।
♦ সেফটি গার্ড ও বাইকের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
♦ মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের নাম ও সে সম্পর্কে ধারণা তৈরি করুন।
♦ হেলমেট, হ্যান্ডগ্লাভস ও সহযাত্রীর হেলমেট নিশ্চিত করুন।
♦ দূরে ভ্রমণের আগে সেফটি গার্ড পরিধান করুন।
♦ ভ্রমণের আগে বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম, ব্রেকিং ক্যাবল ও অন্যান্য সংযোগ চেক করে নিন।
♦ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাইকের বৈধ কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
♦ বাইকের প্রাইমারি সার্ভিসিং টুলকিট সবসময় বাইকে সংরক্ষণ করুন।

দূরে ভ্রমণের আগে যা করবেন

⇒ ট্রাভেলের আগে বাইকের প্রধান ৩টি নাট চেক করুন। এই তিনটি নাট হলো- সামনের চাকার নাট, পেছনের চাকার নাট এবং বাইকে চালকের পাদানির ওপরের দিকে থাকা মাইন বডি নাট। এই তিনটি নাট চেক করা খুবই জরুরি।

⇒ সামনের হাইড্রোলিক ব্রেক হলে তার তেল চেক এবং পেছনের ব্রেক যার যার নিজের স্বভাবজাতভাবে এডজাস্ট করে নিন।

⇒ ড্রাইভ চেইন এডজাস্ট আছে নি না চেক করে লুবিং করুন। কিছুটা ইউজড ইঞ্জিন অয়েল একটা ২৫০মিলি বোতলে ঢেলে মুখটা ভালোভাবে আটকে ব্যাগে রাখতে পারেন। পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক্স সাইড ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা চেক করে নিবেন।

⇒ বাইকে সব সময় একটা এক্সট্রা প্লাগ, একটা ক্লাচ এবং পিকাপ তার সংরক্ষণ করবেন। এটি কখন কোথায় কাজে লাগে বলা যায় না।

⇒ সম্ভব হলে বাইকে হ্যান্ডগার্ড লাগিয়ে নিন। এটা আপনার হাতকে ধুলা- বালি, বাতাস, ঠান্ডা, কাদার হাত থেকে রক্ষা করবে। হ্যান্ডগার্ড থাকলে তা আগেই চেক করে নেয়া যেন ট্রাভেল টাইমে লুজ হয়ে না যায়।

⇒ আপনার বাইকে ডিফল্ট সিস্টেমে ঘড়ি না থাকলে ছোট একটা ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি বাজার থেকে কিনে হ্যান্ড্যালবার এ লাগিয়ে রাখুন।

⇒ হেড লাইট ছাড়াও বাইকে অতিরিক্ত ফগ লাইট টাইপের লাইট লাগান এবং আলাদা সুইচ রাখুন। আলাদা সুইচ না লাগালে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে।

⇒ পানির বোতল রাখার জায়গা বানিয়ে নিন বাম্পারের সাথে এবং পানি ভরে নিয়ে বের হন আর পথে যেতে যেতে মাঝে মাঝে পানির বোতল রিফিল করে নিন।

⇒ ওয়েস্ট বেল্ট ব্যাগ ছাড়া অন্য কোন টাইপের ব্যাগ শরিরের সাথে লাগিয়ে ট্যুর এ বেরে হবেন না। এতে রিল্যাক্স থাকা যায়না এবং ব্যাল্যান্সিংয়েও সমস্যা দেখা দেয়।

⇒ মনে রাখতে হবে বাইকে লাগানো কোন জিনিস যেন নড়াচড়া না করে। তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়বে, তাই যা যেখানে ফিক্স করছেন তা ভালোভাবে টাইট করে লাগিয়ে নিতে হবে।

⇒ বাইক মোছার এক টুকরা কাপড় বাইকে থাকতে হবে। ট্রাভেল টাইমে যখন বিরতি দিবেন তখনই কাপড় টা দিয়ে বাইকের ট্যাংক একটু মুছে নিন। এতে বাইক্টা ফ্রেশ দেখাবে, নিজের কাছেও ভালো লাগবে।

⇒ ভ্রমণকালে দু ঘন্টা পরপর বাইক থেকে নেমে হাত মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এতে অনেক ফ্রেশ লাগে। আর যদি পরিস্কার কাপর দিয়ে মুখটা ধোয়ার পর মুছে ফেলা যায় তাহলে তো কথাই নেই।

⇒ বাইকে যা যা প্রয়োজনীয় তা লাগানোর সময় বাইকে বসে খেয়াল রাখতে হবে যেন বাইকের ওয়েট ডানে বামে কম বেশী না হয়।

⇒ বাইকের ব্যাগের মধ্যে এক্সট্রা এক্টা নরম কাপড়ের বড় ব্যাগ ভাজ করে রাখুন, ধরুন কোথাও আপনি ফুড ব্রেক দিলেন বা যে কোন লং ব্রেক দিলেন, তখন আপনার গ্লাভস, জুতা, জ্যাকেট, লেগগার্ডস এগুলো যেখানে সেখানে না রেখে ব্যাগে রাখুন, তাহলে সব গোছানো থাকবে। হাতের কাছে রাখা যাবে সব একসাথে।

⇒ অবশ্যই বাইকের চাকায় পাংচার নিরোধক জেল দিয়ে দিন এবং সঠিক মাপে হাওয়া দিন। এতে চাকায় কোনপ্রকার লিক হলেও অনেক দুর্ভোগের হাত থেকে বেচে যাবেন।

০৭ জুলাই ২০২২, ০৩:৫৬পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।